সংবিধানের গোলযোগ এবং স্থায়ী গাঠনিক পরিষদের প্রস্তাব

সংবিধানের গোলযোগ এবং স্থায়ী গাঠনিক পরিষদের প্রস্তাব

এ ছাড়া ডাকসু, চাকসু, রাকসু, জাকসু, বুয়েট ও ঢাকা মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী সংসদের নির্বাচিত ভিপি, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের একজন প্রতিনিধি, ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর একজন প্রতিনিধি, একজন করে অবসরপ্রাপ্ত মহা হিসাব নিরীক্ষক এবং নির্বাচন কমিশনারকেও এতে রাখা যেতে পারে।

বিচারক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, প্রাথমিক-মাধ্যমিক স্কুল ও কলেজের শিক্ষক, পুলিশ ও সশস্ত্র বাহিনীর সাবেক কর্মকর্তা, জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত লেখক, কৃষক, আইন মুসাবিদা–সংক্রান্ত বিশেষজ্ঞ, নির্বাচিত উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, প্রবাসী শ্রমিক প্রতিনিধি, বেসরকারি চাকরিজীবী, শিল্পমালিক এবং মানবাধিকার কর্মীদেরও এতে অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে।

এ পরিষদের মোট ১০১ জনের মধ্যে ৫১ জনই হবেন কোনো না কোনোভাবে সরাসরি নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি, যাঁদের মেয়াদকাল তখনো বিদ্যমান থাকবে। এর বাইরে ১৮ জন থাকবেন সাবেক নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি। ১৯ জন থাকবেন আইন, সংবিধান ও রাষ্ট্র পরিচালনার নানা বিষয়ে বিশেষজ্ঞ। সাতজন শিক্ষার্থী প্রতিনিধিও থাকবেন।

‘স্থায়ী গাঠনিক পরিষদ’ আমাদের দেশে একটা নতুন ভাবনা। অতীতে এ রকম কোনো নজির নেই বলে এ ভাবনাকে অনেকে নাকচ করে দিতে পারেন। কিন্তু জনগণের ক্ষমতা ও অধিকার নিশ্চিত করতে হলে আমাদের নির্দিষ্ট চিন্তা-চৌহদ্দির বাইরে গিয়ে ভাবতে হবে। সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে সঙ্গে করেই আমাদের সাংবিধানিক ভাবনাগুলো বিকশিত করতে হবে।

মিল্লাত হোসেন সংবিধান ও আইন বিষয়ের লেখক ও গবেষক

*মতামত লেখকের নিজস্ব

Scroll to Top