অস্ট্রেলিয়ার বিশাল জয়ের দিনে নায়ক বনে গেলেন মিচেল স্টার্ক। নিজের ১০০তম টেস্টে খেলতে নেমে ৪০০ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করলেন তারকা পেসার। সঙ্গে সবচেয়ে কম বলে ৫ উইকেট শিকারের বিশ্বরেকর্ডও গড়েছেন তিনি। ২৭ রানে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে অল আউট করে ১৭৬ রানের বড় জয় তুলে নেয় আজিরা।
সোমবার জ্যামাইকার স্যাবিনা পার্কে তৃতীয় দিনে ২০৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সহজ রানের লক্ষ্য কঠিন করে তোলে আজি বোলাররা। স্টার্ক ৭.৩ ওভার বোলিং করে ৪টি মেডেনের সাহায্যে ৪ রান খরচায় একাই নেন ৬ উইকেট। নিজের ১০০তম টেস্ট ম্যাচ রাঙিয়ে রাখলেন ইতিহাসে।
টেস্টে দ্রুততম সময়ের মধ্যে ৫ উইকেট নেয়া রেকর্ডটি করতে স্টার্কের খরচ হয়েছে ১৫ বল। এর আগে এই রেকর্ড ছিল আরেক আজি বোলার আর্নি টোশ্যাকের, ভারতের বিপক্ষে ১৯৮৭ সালে ১৯ বলে তিনি এই রেকর্ড করেছিলেন।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুটা ভালো না হলেও স্টার্কের শুরুটা বেশ ভালোই ছিল। তাদের ইনিংসের প্রথম বলেই জন ক্যাম্পবেলকে সাজঘরে ফেরান স্টার্ক। পরবর্তী উইকেট পেতে অপেক্ষা করতে হয় কেবল ৩ বল। ক্যারিবীয় স্কোর বোর্ডে কোন রান যোগ হবার আগেই ওভারের শেষ দুবলে ২ উইকেট শিকার করেন তিনি।
কোন রান ছাড়াই প্রথম তিন ব্যাটারকে হারিয়ে চাপে পরে ইন্ডিজ। তবে সেই চাপ আর কাটিয়ে উঠা সম্ভব হয়নি স্টার্কের বোলিং তোপে। শীটে মাত্র ৫ রান যোগ করতে আবারও ছোবল স্টার্কের। মিকাইল লুইস কে সাজঘরে ফিরিয়ে তুলে নেন টেস্ট ক্যারিয়ারে ৪০০তম উইকেট। দলীয় ৭ রানে স্টার্কের কাছে হারায় পঞ্চম উইকেট।
তাতে নিজেদের তিন ওভারে দুই মেডেনে ৬ রান দিয়ে ৫ উইকেট পেয়ে যায় স্টার্ক। এর পর আর ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব হয়নি উইন্ডিজের। পরবর্তীতে স্কট বোল্যান্ডের হ্যাটট্রিক, স্ট্রার্কের ৬ উইকেট এবং জশ হ্যাজেলউডের একমাত্র উইকেটে ২৭ রানে গুটিয়ে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। যা ছিল টেস্ট ইতিহাসের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন দলীয় সংগ্রহ। আগের ২৭ রানে দ্বিতীয় ইনিংসে অলআউট হয় উইন্ডিজ। টেস্ট ইতিহাসে এটি দ্বিতীয় সর্বনিম্ন দলীয় সংগ্রহ। আগের রেকর্ডটি ছিল ১৯৫৫ সালে, নিউজিল্যান্ডের ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে মাত্র ২৬ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল। সেই ম্যাচে ইংল্যান্ড ইনিংস ও ২০ রানে জয় তুলেছিল।
এর আগে টসে জিতে ব্যাটে নেমে সুবিধা করতে পারেনি অস্ট্রেলিয়া। তাদের প্রথম ইনিংসে ২২৫ রানের জবাবে ১৪৩ রাতে থামে ওয়েস্ট ইন্ডিজও। তাতে ৮২ রানের লিড নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে অজিরা ১২১ রান করে থামলে ক্যারিবীয়দের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ২০৪ রানের। তাড়া করতে নেমে কেবল ২৭ রানে স্বাগতিকরা গুটিয়ে গেলে ১৭৬ রানের বড় জয় পায় প্যাট কামিন্সের দল।