শৃঙ্খলা এনে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করা সরকারের প্রধান কাজ

শৃঙ্খলা এনে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করা সরকারের প্রধান কাজ

গণফোরামের ইমেরিটাস সভাপতি ড. কামাল হোসেন বলেছেন, গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান কাজ রাষ্ট্রের সব প্রতিষ্ঠানে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজন করা। তিনি বলেন, গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানে সংস্কারের যে আকাঙ্ক্ষা সৃষ্টি হয়েছে, তা উপেক্ষা করার সুযোগ নেই। সরকারকে দক্ষতার সঙ্গে বিষয়গুলো সমাধানের জন্য জরুরি পদক্ষেপ নিতে হবে।

শৃঙ্খলা এনে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করা সরকারের প্রধান কাজশৃঙ্খলা এনে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করা সরকারের প্রধান কাজগতকাল সোমবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে আয়োজিত এক শোকসভায় লিখিত বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বক্তব্য পড়ে শোনান গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান। মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও গণফোরামের সাবেক সভাপতি মোস্তফা মোহসীন মন্টু স্মরণে এই শোকসভার আয়োজন করা হয়।
বর্তমান বাংলাদেশের অস্থিরতা ও সংকট নিরসনের একমাত্র পথ রাজনৈতিক ঐক্য বলে উল্লেখ করেন কামাল হোসেন। তিনি বলেন, ‘এই ঐক্যের ভিত্তি হলো আমাদের জাতীয় চেতনা।

এই চেতনা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ, বাহাত্তরের সংবিধান ও চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানের মধ্যে নিহিত। মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে অর্জিত বাংলাদেশের অঙ্গীকার ছিল সাম্য, মানবিক ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা। কিন্তু বিগত ৫৩ বছরে এই অঙ্গীকার প্রতিষ্ঠিত হয়নি।’

শোকসভা শেষে শুভেচ্ছা বক্তব্যে ড. কামাল হোসেন বলেন, ‘চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানের পর আমরা যে পরিবর্তনের কথা বলছি, তার জন্য মাঠে ঐক্যের প্রয়োজন।

বর্তমান যে সংকট চলছে, তা ঐক্যের মাধ্যমে নিরসন সম্ভব। তাই বৃহত্তর ঐক্য প্রতিষ্ঠাকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। দৃঢ়প্রতিজ্ঞার মধ্য দিয়ে শুধু আমাদের কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন অর্জন করা সম্ভব।’
গত ১৫ জুন মোস্তফা মোহসীন মন্টু রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। মুক্তিযুদ্ধে ঢাকা জেলা গেরিলা বাহিনীর প্রধান ছিলেন তিনি।

কিছু মহল একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধকে অস্বীকার করার ষড়যন্ত্র করছে বলে উল্লেখ করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘বিএনপি মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে অত্যন্ত দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে। মুক্তিযুদ্ধের প্রশ্নে আমাদের কোনো আপস নেই। দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের জন্য যেকোনো ত্যাগ স্বীকার করতে বিএনপি প্রস্তুত আছে।’

বর্তমান পরিস্থিতি দেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে পরিবর্তনের যে সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল, সেটা নষ্ট করার জন্য একটি মহল মাঠে নেমেছে।’

নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থান আমাদের মধ্যে যে পরিবর্তনের আকাঙ্ক্ষা তৈরি করেছিল, এখন সেটার ছন্দপতন হয়েছে।’

সভায় গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, ফ্যাসিবাদী কাঠামো বিলুপ্তিতে আমাদের ন্যূনতম ঐক্য গড়তে হবে।’ শোকসভায় বাবার স্মৃতিচারণা করেন মোস্তফা মোহসীন মন্টুর কন্যা শ্রাবণী মোস্তফা।

Scroll to Top