‘মাদক বিক্রেতা’র বাসা থেকে আনা ব্যাংক চেক নেই জব্দ তালিকায়, সহকারী পরিচালকের অফিস ‘সিলগালা’

‘মাদক বিক্রেতা’র বাসা থেকে আনা ব্যাংক চেক নেই জব্দ তালিকায়, সহকারী পরিচালকের অফিস ‘সিলগালা’

অভিযোগের বিষয়ে জানতে আজ বৃহস্পতিবার মারফিয়া আফরোজের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হয়। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, অভিযানের সময় আসামির বাসা থেকে কললিস্টের (সিডিআর) তালিকা পাওয়া গেছে, যেটা স্বাভাবিক ঘটনা নয়। এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে আসামি রমিজ উদ্দিনের স্ত্রীর এক আত্মীয় পুলিশে চাকরি করেন বলে জানান।

ব্যাংক চেকের বিষয়ে জানতে চাইলে মারফিয়া আফরোজ প্রথম আলোকে বলেন, ‘অভিযান হয়েছিল জুন মাসে। বৃহস্পতিবার তদন্ত কর্মকর্তা আলামতের ভেতর ব্যাংক চেকটি দেখতে পান। পরে সেটা আমার অফিসকক্ষের ড্রয়ারে রাখেন। আমি নতুন চাকরিতে যোগ দিয়েছি। ব্যাংক চেকটি কী করব, সেটা বুঝতে পারিনি।’

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, রমিজ উদ্দিনকে গ্রেপ্তারের ওই অভিযানে গিয়েছিলেন গোয়েন্দা বিভাগের বিভিন্ন পদমর্যাদার আট কর্মকর্তা। সহকারী পরিচালক মারফিয়া আফরোজের নেতৃত্বে ওই অভিযানে আরও ছিলেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক শাহরিয়া শারমিন, উপপরিদর্শক আবদুল আল মামুন ও মো. জান্নাতুল ফেরদৌস, সহকারী উপপরিদর্শক মো. আতাউল হক, সিপাহি সোহেল রানা, আবদুর রহমান, সাইমুন হাসান খান ও মো. লুৎফর রহমান। অভিযোগের বিষয়ে প্রাথমকি সত্যতা পেয়ে গতকাল রাতে অভিযানসংশ্লিষ্ট চার কর্মকর্তাকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিয়ে তাঁদের প্রধান কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়। এই চার কর্মকর্তার মধ্যে মারফিয়া আফরোজ ছাড়া বাকিরা হলেন, উপপরিদর্শক মো. জান্নাতুল ফেরদৌস, সহকারী উপপরিদর্শক মো. আতাউল হক ও সিপাহি সোহেল রানা।

Scroll to Top