লক্ষ্মীনারায়ণপুর এলাকার বাসিন্দা মোশারফ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল সন্ধ্যার পর আজ সকাল পর্যন্ত তেমন বৃষ্টি হয়নি। তবে এখনো রাস্তাঘাট ও বিভিন্ন বাসাবাড়ির আঙিনায় পানি আছে। এ কারণে তাঁদের দুর্ভোগ কমেনি। পানিতে ডুবে থাকা ভাঙাচোরা রাস্তায় চলতে গিয়ে তাঁদের ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।
দরগাবাড়ি এলাকার বাসিন্দা রোজিনা আক্তার প্রথম আলোকে বলেন, জলাবদ্ধতার কারণে তিন দিন ঘর থেকে বের হতে পারেননি। অল্প বৃষ্টিতে তাঁদের এলাকায় পানি জমে। পানিও নিষ্কাশন হয়নি। এর ফলে এলাকার শতাধিক পরিবার কার্যত পানিবন্দী অবস্থায় আছে।
জেলা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের পর্যবেক্ষক মো. আজরুল ইসলাম আজ সকালে প্রথম আলোকে বলেন, লঘুচাপের প্রভাবে সৃষ্ট দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া কিছুটা স্বাভাবিক হয়ে এসেছে। এখন বৃষ্টিপাত কিছুটা কমবে। তবে বর্ষায় স্বাভাবিক যে বৃষ্টিপাত হয়, সেটি হবে। গত ২৪ ঘণ্টায় (গতকাল বুধবার সকাল থেকে আজ বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত) জেলা শহর মাইজদীতে ১২০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে; যা আগের ২৪ ঘণ্টায় ছিল ২০৮ মিলিমিটার। তিনি বলেন, বৃষ্টি কমলেও জলাবদ্ধতা কমেনি। তাঁদের কার্যালয়ের সামনেও হাঁটুপানি।