Nimisha Priya Execution: সংসারের হাল ফেরাতে ইয়েমেনে গিয়ে মৃত্যু মুখে, ১৬ জুলাই চরম পরিণতি ভারতীয় নার্স নিমিষার?

Nimisha Priya Execution: সংসারের হাল ফেরাতে ইয়েমেনে গিয়ে মৃত্যু মুখে, ১৬ জুলাই চরম পরিণতি ভারতীয় নার্স নিমিষার?

Last Updated:

ইয়েমেনে ফাঁসির সাজা দেওয়া হয়েছে নিমিষা প্রিয়াকে৷ ছবি- নিউজ ১৮ মালয়লামNimisha Priya Execution: সংসারের হাল ফেরাতে ইয়েমেনে গিয়ে মৃত্যু মুখে, ১৬ জুলাই চরম পরিণতি ভারতীয় নার্স নিমিষার?
ইয়েমেনে ফাঁসির সাজা দেওয়া হয়েছে নিমিষা প্রিয়াকে৷ ছবি- নিউজ ১৮ মালয়লাম

সব চেষ্টাই বিফলে৷ ফাঁসির সাজাপ্রাপ্ত ভারতীয় নার্স কেরলের বাসিন্দা নিমিষা প্রিয়ার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে চলেছে ইয়েমেন৷ আগামী ১৬ জুলাই ভারতীয় এই নার্সকে ইয়েমেনে ফাঁসি ঝোলান হবে বলে খবর৷ ইয়েমেনের একজন নাগরিককে হত্যার দায়ে ফাঁসির সাজা দেওয়া হয় নিমিষাকে৷

নিজের ব্যবসায়িক পার্টনার তালাল আবদো মেহেদিকে খুনের অভিযোগ ওঠে নিমিষার বিরুদ্ধে৷ ২০১৭ সালে তাঁকে গ্রেফতার করে ইয়েমেন পুলিশ৷ ২০২০ সালে ইয়েমেনের একটি আদালত নিমিষাকে মৃত্যুদণ্ড দেয়৷

২০১১ সালে নার্সিং প্রশিক্ষণ নেওয়ার পর ইয়েমেনে চলে যান কেরলের পাল্লিকড় জেলার বাসিন্দা নিমিষা৷ নিমিষার বাবা মা দৈনিক শ্রমিক হিসেবে কাজ করে উপার্জন করতেন৷ সংসারের হাল ফেরাতেই ইয়েমেনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন নিমিশা৷

প্রাথমিক ভাবে ইয়মেনের বিভিন্ন হাসপাতালে দিন রাত কাজ করে টাকা জমান নিমিষা৷ এর পর নিজের ক্লিনিক খোলার সিদ্ধান্ত নেন তিনি৷ ২০১৪ সালে নিমিষার সঙ্গে আলাপ হয় তালাল আবদো মেহেদি নামে ইয়েমেনের ওই নাগরিকের৷ ক্লিনিক খোলার জন্য নিমিষাকে সাহায্য করার আশ্বাস দেন তিনি৷

ইয়েমেনের আইন অনুযায়ী কোনও বিদেশি নাগরিক সেদেশে ব্যবসা করতে চাইলে স্থানীয় কোনও বাসিন্দাকে অংশীদার করতে হবে৷ যদিও ক্লিনিক খুলতে সাহায্য করার বদলে মেহদি নিমিষার উপর অত্যাচার এবং হয়রানি শুরু করেন বলে অভিযোগ৷ ভারতীয় ওই নার্সের পাসপোর্টও আটকে রাখা হয়৷ এর পর নিমিষা পুলিশে অভিযোগ করলে মেহদিকে গ্রেফতার করে পুলিশ৷ ২০১৬ সালে জেল থেকে ছাড়া পেয়ে ফের নিমিষাকে উত্যক্ত করতে শুরু করেন মেহদি?

অভিযোগ, নিজের পাসপোর্ট ফিরে পেতে মেহদিকে ঘুমের ওষুধ মেশানো ইঞ্জেকশন দিতে শুরু করেন নিমিষা৷ কিন্তু সেই ওষুধের মাত্রাতিরিক্ত ডোজের কারণে মেহদির মৃত্যু হয়৷ ইয়েমেন থেকে পালানোর সময় নিমিশাকে গ্রেফতার করে পুলিশ৷

নিমিষাকে বাঁচানোর একমাত্র পথ ছিল মৃত ওই ব্যক্তির পরিবারকে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দিয়ে রফাসূত্রে পৌঁছনো৷ মেয়েকে বাঁচাতে নিজের বাড়ি বিক্রি করে দেন নিমিষার মা৷ কথাবার্তা চালানোর জন্য নিমিষার ইয়েমেনের আইনজীবী প্রথমে প্রায় সাড়ে ১৬ লক্ষ টাকা দাবি করেন৷ ভারতীয় বিদেশমন্ত্রক সেই টাকা ওই আইনজীবীকে মিটিয়েও দেয়৷ কিন্তু তার পরেও নিজের দাবি প্রায় দ্বিগুন করে দেন নিমিষার আইনজীবী৷ সেই টাকা তুলতে নিমিষার নামে শুরু হয় ক্রাউড ফান্ডিং৷ কিন্তু সেই টাকার হিসেবের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় সেই প্রক্রিয়াও ধাক্কা খায়৷ কেন্দ্রীয় সরকার অবশ্য গত জানুয়ারি মাসে জানায় নিমিষার মামলার উপরে তাঁরা নজর রাখছে৷ যদিও নিমিশার মা সতর্ক করে বলেছিলেন, হাতে সময় আর বেশি নেই৷

বাংলা খবর/ খবর/বিদেশ/

Nimisha Priya Execution: সংসারের হাল ফেরাতে ইয়েমেনে গিয়ে মৃত্যু মুখে, ১৬ জুলাই চরম পরিণতি ভারতীয় নার্স নিমিষার?

Scroll to Top