মন্ত্রী, এমপিদের ‘আবদারে’ হয়েছিল নতুন নতুন ট্রেন, এখন খরচ ওঠে না

মন্ত্রী, এমপিদের ‘আবদারে’ হয়েছিল নতুন নতুন ট্রেন, এখন খরচ ওঠে না

সিরাজগঞ্জ শহর থেকে শহীদ মনসুর আলী স্টেশনের দূরত্ব মাত্র ছয় কিলোমিটার। মনসুর আলী স্টেশনে উত্তরবঙ্গের পথের অনেক ট্রেন থামে। সিরাজগঞ্জ শহরে একটি ট্রেন নেওয়ার জন্য চাপ দিয়েছিলেন প্রয়াত স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৩ সালে ট্রেন চালু করা হয়। তবে আশানুরূপ যাত্রী হয় না।

অথচ আগে থেকে ঈশ্বরদী থেকে ঢাকায় একটি আন্তনগর ট্রেন চলাচল করত। সেটি বাদ দিয়ে সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেস নামে নতুন ট্রেন চালু করা হয়। তবে রাতে ট্রেনটি রাখার জন্য সিরাজগঞ্জে জায়গা নেই। ফলে যাত্রী নামিয়ে ট্রেনটি নেওয়া হয় ঈশ্বরদীতে। আবার যাত্রী আনতে সেটি সিরাজগঞ্জ যায়। এভাবে জামতৈল, সিরাজগঞ্জ ও ঈশ্বরদীর মধ্যে ঘোরাঘুরিতে সময় নষ্ট হয় এবং অতিরিক্ত জ্বালানি খরচ হয়।

রেলওয়ের তথ্যমতে, সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনটি গড়ে ৮৮ শতাংশ যাত্রী হয়। মাসে আয় ৩০ লাখ টাকার মতো।

ঈশ্বরদী থেকে পাবনার ঢালারচর পর্যন্ত নতুন রেললাইন নির্মাণ করা হয় ২০১৮ সালে। এতে ব্যয় হয় ১ হাজার ৭১৫ কোটি টাকায়। এই পথে রেললাইন নির্মাণে কোনো সম্ভাব্যতা যাচাই হয়নি। উদ্বোধনের পর দুই বছর রেলপথটিতে কোনো ট্রেনই চলেনি। ২০২০ সালে ঢালারচর এক্সপ্রেস নামে এক জোড়া ট্রেন চালু করা হয়। যদিও প্রকল্প নেওয়ার সময় বলা হয়েছিল এই পথে ১০টি ট্রেন চলবে। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে অপচয়ের যেসব অভিযোগ রয়েছে, এই রেলপথ তার অন্যতম উদাহরণ।

রেলওয়ে সূত্র জানায়, ঢালারচর এক্সপ্রেস ১১টি কোচ নিয়ে চলাচল করে। আসা-যাওয়া মিলে দুবার চলে। অর্থাৎ রেলে দুটি ট্রেন হিসাব করা হয়। মাসে গড়ে দুটি ট্রেন থেকে গড়ে আয় ৩৬ লাখ টাকা। এই ট্রেনে আসনের অতিরিক্ত যাত্রী যাতায়াত করে। তবে বেশির ভাগ যাত্রী স্বল্প দূরত্বের। এ জন্য আয় কম হয়।

Scroll to Top