বাংলাদেশ ও ভূটানের জন্য বিশ্বব্যাংকের নতুন বিভাগীয় পরিচালক হিসেবে আগামীকাল দায়িত্ব গ্রহণ করছেন জঁ পেসম। বাংলাদেশ ও ভূটানের জন্য বিভাগীয় পরিচালক হিসেবে পেসম বিশ্বব্যাংকের কৌশলগত ও নীতিনির্ধারণী সংলাপ পরিচালনা করবেন এবং দেশদুটির উন্নয়ন অগ্রগতিকে আরও বেগবান করতে সংস্থাটির সহযোগিতা নিশ্চিত করবেন।
ফরাসি নাগরিক পেসম একজন প্রকৌশলী হিসেবে প্রশিক্ষিত এবং ২০০৩ সালে বিশ্বব্যাংকে সিনিয়র ইনফ্রাস্ট্রাকচার স্পেশালিস্ট হিসেবে যোগ দেন। পরে তিনি সংস্থাটির বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ নেতৃত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেন, যার মধ্যে রয়েছে বিশ্বব্যাংকের বেসরকারি খাতের সহায়ক সংস্থা আইএফসি এর গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বও। তিনি মূলত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থব্যবস্থা গড়ে তোলা এবং আর্থিক খাতকে আরও সহনশীল করে তোলার বিষয়ে বিশেষজ্ঞ হিসেবে খ্যাত। মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকা অঞ্চলে আর্থিক খাত নিয়ে তার দীর্ঘ কাজের অভিজ্ঞতা রয়েছে।
নতুন দায়িত্ব গ্রহণের আগে তিনি বিশ্বব্যাংকের গ্লোবাল ডিরেক্টর (ফাইন্যান্স) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এই পদে থেকে তিনি বিশ্বব্যাংকের আর্থিক স্থিতিশীলতা ও অখণ্ডতা বিষয়ক বৈশ্বিক দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশে শক্তিশালী, স্বচ্ছ ও আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে পরিচালিত আর্থিক ব্যবস্থা গড়ে তুলতে সহায়তা করেছেন।
বাংলাদেশ প্রসঙ্গে পেসম বলেন, বাংলাদেশ উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় উদ্ভাবনী শক্তি, সংকল্প ও সহনশীলতা দিয়ে বিশ্বকে বারবার চমকে দিয়েছে। এই দেশের অর্জন থেকে অনেক কিছু শেখার আছে। আমি বাংলাদেশ সরকার ও জনগণের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে আগ্রহী, যাতে দেশটি অন্তর্ভুক্তিমূলক ও টেকসই উন্নয়নের ধারা বজায় রাখতে পারে। আমরা ‘ওয়ান ওয়ার্ল্ড ব্যাংক গ্রুপ’ ধারণার আওতায় আইএফসি ও এমআইজিএ-এর সঙ্গে সমন্বয় করে বেসরকারি খাতের প্রবৃদ্ধি ও বিনিয়োগ বাড়াতে কাজ করব, যা কর্মসংস্থান ও উন্নয়নে বড় ভূমিকা রাখবে।
উল্লেখ্য, স্বাধীনতার পরপরই বাংলাদেশে বিশ্বব্যাংক অন্যতম প্রথম উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে সহায়তা শুরু করে। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে বিশ্বব্যাংক ৪৬ বিলিয়ন ডলারের বেশি অনুদান, সুদমুক্ত ও স্বল্পসুদে ঋণ প্রদান করেছে। বর্তমানে বাংলাদেশে বিশ্বব্যাংকের সর্ববৃহৎ আইডিএ কর্মসূচি চলছে, যার আওতায় চলমান প্রতিশ্রুতি ১৫ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার।