‘ভালো গান দর্শকদের সিনেমা হলে টেনে নিয়ে যায়’ | চ্যানেল আই অনলাইন

‘ভালো গান দর্শকদের সিনেমা হলে টেনে নিয়ে যায়’ | চ্যানেল আই অনলাইন

গেল কয়েক বছরে পরাণ, তুফান, তাণ্ডবসহ যতগুলো সুপারহিট সিনেমা দর্শকরা পেয়েছেন, অধিকাংশ সিনেমার গান জাতীয় চলচ্চিত্র পুরষ্কারপ্রাপ্ত গীতিকার রবিউল ইসলাম জীবনের লেখা ছিল। ‘গান হিট তো সিনেমা হিট’ এমন ধারণার সঙ্গে সময়ের জনপ্রিয় এই গীতিকারও পুরোপুরিভাবে একমত।

বহু সিনেমার দর্শকপ্রিয় সব গান লেখার অভিজ্ঞতা থেকে গীতিকার জীবন জানান, ভালো গান দর্শকদের সিনেমা হলে টেনে নিয়ে যায়।

গান সিনেমা হিটের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ, এ বিষয়ে গীতিকার জীবন বললেন, সিনেমার দৈর্ঘ্য দুই ঘণ্টার বেশি বা আড়াই ঘণ্টার কাছাকাছি হলেও একটি গান হয় দুই, তিন বা চার মিনিটের। সিনেমার আগে যদি দর্শক গান দেখে মুগ্ধ হয়, তাহলে সে ধারণা করতে পারে সিনেমাটি কেমন হবে! আর সেই গানের কোনো লাইন যদি মানুষ পছন্দ করে ফেলে, তবে সে গুনগুণ করতে গাইতে থাকে, বারবার করে সেই গান শুনতে থাকে।

রবিউল ইসলাম জীবন বলেন, সিনেমার রিলিজের আগে দর্শক গানকে আপন করে নেয়ার ফলে সেই গানের টানে সিনেমা হলে যায়। আসলে ভালো গান দর্শকদের সিনেমা হলে টেনে নিয়ে যায়। গানের শক্তি অনেক বড়। গান যত বেশি হিট হয়, সিনেমার জন্য ততই ভালো হয়।

২০০৬ সালের ডিসেম্বরে জীবনের লেখা আসিফ আকবরের ‘হৃদয়ে রক্তক্ষরণ’ অ্যালবামে ‘ভাড়াটিয়া চাই’ শিরোনামে প্রথম প্রকাশিত হয়। সেখানে ‘ভালোবাসি বলে’ আরও একটি গান ছিল তার। এরপর দেশের প্রথমসারির প্রায় সব শিল্পী জীবনের লেখা গানে কণ্ঠ দিয়েছেন।

চলচ্চিত্রেও জীবনের লেখা অসংখ্য সুপারহিট গান রয়েছে। গেল ঈদুল আযহাতে মুক্তি প্রাপ্ত ছয় সিনেমার মধ্যে পাঁচটিতে গান লিখেছেন জীবন।

তার আগের ঈদে ‘কন্যা’ নামে আরেকটি গান লিখেছিলেন জীবন। সেটিও দর্শক পছন্দ করেন। সিনেমার বাইরে মিউজিক ভিডিও বা অডিওর জন্য লেখা জীবনের লেখা অধিকাংশ গানই হিট! ২০২২ সালে পরাণ সিনেমায় ‘ধীরে ধীরে’ গানের কারণে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরষ্কার অর্জন করেন।

এ কারণে অনেকেই বলে থাকেন, গীতিকার হিসেবে রবিউল ইসলাম জীবন অনেক ভাগ্যবান! সত্যি কি তাই? উত্তরে রবিউল ইসলাম জীবন বলেন, গীতিকার হিসেবে আমি ভাগ্যবান সত্য, তবে আমি অনেক পরিশ্রমী। শুরু থেকে এখনও পরিশ্রম করে যাচ্ছি। কারণ আমি এই কাজটাকে ভীষণ ভালোবাসি।

Scroll to Top