গণতন্ত্র ফিরে আনার প্রত্যয় নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে আগামী জাতীয় নির্বাচন হবে দেশের ইতিহাসে সবচাইতে ভালো নির্বাচন। গণঅভ্যুত্থানের মুল উদ্দেশ্যই হচ্ছে- দেশে যাতে গণতন্ত্র ফিরে আসে। এজন্য একটি ফ্রি এন্ড ফেয়ার নির্বাচনের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সবধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে।
শনিবার (২৮ জুন) বিকেলে খুলনা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে খুলনার সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে শফিকুল আলম এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, খুলনার দিকে বর্তমান সরকারের যথেষ্ট দৃষ্টি রয়েছে। যদিও তাৎক্ষণিকভাবে এর ফলাফল দেখা যাচ্ছে না। তবে, আগামীতে ভালো ফলাফল দেখা যাবে।
শফিকুল আলম বলেন, বিগত আওয়ামী সরকার একটি ভঙ্গুর অর্থনীতি রেখে গেছে। যে কারণে খুলনার জুট ও চিংড়ি সেক্টরে প্রত্যাশিত গ্রোথ হয়নি। বরং জুট মিলগুলো যেভাবে বন্ধ করেছে তা নিয়েও অনেক প্রশ্ন রয়েছে। তবে, খুলনায় একাধিক পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বেড়েছে। বর্তমান সরকার খুলনার একটিসহ দেশের তিনটি জুট মিলের স্কুল সরকারি করেছে। দেশের প্রত্যেকটা জুট মিলের স্কুল সরকারি করা হবে বলেও তিনি জানান।
মোংলা বন্দর কেন্দ্রিক একটি ইকোনমিক জোন গড়ে তোলার জন্য কাজ চলছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এজন্য প্রাইভেট সেক্টরকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানানো হচ্ছে। ইতোমধ্যেই প্রধান উপদেষ্টা চীন সফরকালে এ বিষয়ে তাদের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে।
আগামী দশক খুলনার জন্য গ্রোথের দশক হবে উল্লেখ করে প্রেস সচিব বলেন, খুলনা আবার ঘুরে দাঁড়াবে, পুরনো গৌরব ফিরে পাবে।
মতবিনিময় সভায় প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ মজুমদার ও প্রধান উপদেষ্টার সিনিয়র সহকারী প্রেস সচিব ফয়েজ আহম্মদ উপস্থিত ছিলেন।