জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব নিয়ে ট্রাম্পের আদেশের পক্ষে আদালত | চ্যানেল আই অনলাইন

জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব নিয়ে ট্রাম্পের আদেশের পক্ষে আদালত | চ্যানেল আই অনলাইন

এই খবরটি পডকাস্টে শুনুনঃ

যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জারি করা নাগরিকত্ব অধ্যাদেশের পক্ষে রায় দিয়েছেন। ৬–৩ ভোটে বিভক্ত রায়ে শীর্ষ আদালত বলেছে, ফেডারেল জেলা আদালতের বিচারকরা আর সহজে পুরো দেশে একযোগে কোনো প্রেসিডেন্সিয়াল নির্বাহী আদেশ আটকে দিতে পারবেন না।

রয়টার্স জানিয়েছে, এই বিচারকেরা প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব সীমিত করার নির্বাহী আদেশ স্থগিত করতে দেশব্যাপী আদেশ জারি করেছিলেন। রায়ের ফলে ট্রাম্পের বিতর্কিত ‘জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব’ বাতিলের উদ্যোগ থেকে শুরু করে ভবিষ্যতের যেকোনো প্রেসিডেন্সিয়াল নীতিকে আদালতে চ্যালেঞ্জ করা কঠিন হয়ে পড়বে। তবে সুপ্রিম কোর্ট এ রায়ে জন্মসূত্রে নাগরিকত্বের সাংবিধানিক বৈধতা নিয়ে সরাসরি কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি।

এ ছাড়া ম্যারিল্যান্ড, ম্যাসাচুসেটস ও ওয়াশিংটন অঙ্গরাজ্যের ফেডারেল বিচারকদের দেওয়া দেশব্যাপী স্থগিতাদেশগুলো পুনর্বিবেচনার নির্দেশ দেন। বিচারপতি অ্যামি কনি ব্যারেট এই রায় ঘোষণা করেন। তিনি বলেছেন, ফেডারেল আদালতগুলোর দায়িত্ব নির্বাহী শাখার ওপর সাধারণ তত্ত্বাবধান করা নয়, বরং কংগ্রেস প্রদত্ত সীমার মধ্যে মামলা ও বিতর্ক নিষ্পত্তি করা।

তিনি আরও বলেন, যদি কোনো আদালত সিদ্ধান্তে আসে যে নির্বাহী শাখা বেআইনিভাবে কাজ করেছে, তার মানে এই নয় যে আদালত নিজেও তার ক্ষমতার সীমা ছাড়িয়ে যাবে। ছয়জন রক্ষণশীল বিচারক এই রায়ের পক্ষে ভোট দিয়েছেন, আর তিনজন উদারপন্থী বিচারপতি ভিন্নমত দিয়েছেন। এদিকে রায় ঘোষণার পর এই সিদ্ধান্তকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।

উল্লেখ্য, দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট পদে ফিরে আসার প্রথম দিনেই ট্রাম্প একটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেন, যেখানে বলা হয়, যেসব শিশুর বাবা-মা একজনও মার্কিন নাগরিক বা গ্রিন কার্ডধারী নন, তারা যুক্তরাষ্ট্রে জন্ম নিলেও নাগরিকত্ব পাবে না। ট্রাম্পের এই আদেশের বিরুদ্ধে ২২টি রাজ্যের ডেমোক্রেট অ্যাটর্নি জেনারেল, অভিবাসী অধিকারকর্মী ও অভিবাসী গর্ভবতী নারীরা মামলা করেছিলেন।

Scroll to Top