দীর্ঘ আলোচনার পরও রাষ্ট্রের চারটি মূলনীতির প্রশ্নে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐক্যমত হয়নি। কোনো রাজনৈতিক দল সংবিধানের এই চারটি নীতি বাদ দেওয়া পক্ষে। আবার কোনো দল সংস্কারের পক্ষে। শেষ পর্যন্ত ঐক্যমত না হয়ে শেষ করতে হয়েছে বৈঠক।
বুধবার ২৫ জুন বিকেলে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের ষষ্ঠ দিনের দ্বিতীয় দফার বৈঠক শেষে এ তথ্য জানান জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি ড. আলী রীয়াজ।।
জামায়াতে ইসলামী এনসিপি ও সমমনা ইসলামী দলগুলো বলছে, ৭২ এর সংবিধানের মূলনীতি বাদ দেয়ার পক্ষে একমত। আর এনসিপি ৭২ এর সংবিধানের চার মূলনীতিতে এক ব্যক্তি ও মুজিববাদী চেতনার প্রতিফলন ঘটেছে উল্লেখ করে চার মুলনীতি বাদ দেওয়া পক্ষে মত দিয়েছে৷
অন্যদিকে গণফোরাম, সিপিবিসহ বামদল দলোগুলোর প্রতিনিধিরা বলছেন, ১৯৭২ এর সংবিধানে বাঙালি জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র এবং ধর্ম নিরপেক্ষতা রাষ্ট্রীয় এ চারটি মূলনীতি রেখেই জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাবিত পাঁচটি নতুন মুলনীতি যুক্ত করতে পারে।
তারা বলছে, ৭২ এর ৪টি মূলনীতি বাদ দিয়ে জাতীয় কমিশন প্রস্তাবিত নতুন মূলনীতি সংযুক্ত হলে তা বামদলগুলো মানবে না।
ফলে সকালে মূলনীতির আলোচনা স্থগিত করে কমিশন। তবে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাবিত মূলনীতি সাম্য, মানবিক মর্যদা ও সামাজিক সুবিচার, গণতন্ত্র এবং ধর্মীয় নিরপেক্ষতার পরিবর্তে ধর্মীয় স্বাধীনতা ও সম্পৃতি অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব করে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।
একইভাবে জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিলের নাম পরিবর্তন করে সংবিধান ও সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ কমিটি হিসেবে এনসিসির নতুন নাম প্রস্তাব করে।
বিএনপিসহ সমমনা কয়েকটি রাজনৈতিক দল সেই প্রস্তাবে একমত হয়নি। বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন আহমেদ বলেন, নাম পরিবর্তন করলেও এর কাঠমো নির্বাহী বিভাগের ক্ষমতা খর্ব করবে।