রেলওয়ে পুলিশের প্রধান ও অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক সরদার তমিজ উদ্দিন আহমেদ জানান, ট্রেনে কাটা পড়ে সবচেয়ে বেশি মানুষের মৃত্যু হয় ঢাকায়। ঢাকার সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা হচ্ছে বনানী থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত রেললাইন। এ এলাকায় গত এক বছরে ৯৩ জন ট্রেনে কাটা পড়ে মারা গেছেন।
এর কারণ সম্পর্কে রেলওয়ে পুলিশ বলছে, বনানী থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত প্রায় পাঁচ কিলোমিটার রেললাইন সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনাপ্রবণ। এর মধ্যে কুড়িল বিশ্বরোড এলাকায় রেললাইনের একটি বাঁক রয়েছে। এতে এক পাশ থেকে ট্রেন এলে অন্য পাশে দেখা যায় না। ওই বাঁক দিয়ে প্রতিদিন বহু মানুষ যাতায়াত করলেও কোনো পদচারী–সেতু নেই। ঝুঁকিপূর্ণভাবে দিনভর মানুষ যাতায়াত করেন। এখানেই সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়। আবার এ এলাকা মহাসড়কের পাশে হওয়ার কারণে সব সময় উচ্চ শব্দ থাকে। এতে রেললাইন পার হওয়া বা রেললাইন দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় ট্রেন এলেও মানুষ শব্দ শুনতে পান না।
ঢাকা জেলা রেলওয়ে পুলিশ বলছে, ঢাকা মহানগরীর মধ্যে কারওয়ান বাজার, খিলগাঁও, মগবাজার, মালিবাগ, গোপীবাগ এলাকাতেও ট্রেনে কাটা পড়ে বহু মানুষ হতাহত হন। এসব এলাকা থেকে প্রায়ই লাশ উদ্ধার হয়। এ ছাড়া গাজীপুর, টাঙ্গাইল ও নরসিংদীতেও ট্রেনে কাটা পড়ে মানুষ মারা যাওয়ার তথ্য পাওয়া যায়।
রেলওয়ে পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত চার বছরে ঢাকা জেলায় ট্রেনে কাটা পড়ে মারা গেছেন ১ হাজার ৭৬৩ জন। এ সময়ে সারা দেশে ট্রেনে কাটা পড়ে মারা গেছেন ৩ হাজার ৯১৮ জন, অর্থাৎ ঢাকা জেলায় মারা যান এক-তৃতীয়াংশ মানুষ। রেলওয়ের ঢাকা জেলার মধ্যে পড়েছে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, গাজীপুর, টাঙ্গাইল, নরসিংদী ও কিশোরগঞ্জ।