পদ্মা নদীর হক চেয়েছিলেন ভাসানী

পদ্মা নদীর হক চেয়েছিলেন ভাসানী

রাজনৈতিক পরিস্থিতি অনুকূলে থাকায় অন্য বছরের তুলনায় এবার ফারাক্কা দিবস (১৬ মে) উদ্‌যাপন যথেষ্ট দৃশ্যমান ছিল। উৎসাহী, অতি উৎসাহী, কম উৎসাহী, হুজুগে উৎসাহী—প্রায় সবাই শামিল হয়েছিলেন ফারাক্কা দিবস উদ্‌যাপনে। ফটোসেশন হয়েছে।

ঢাকা ছাড়া রাজশাহীতে সভা-সমাবেশ-সেমিনার হয়েছে। ঢাকা থেকে এক দিনের ট্রিপে সেখানে যোগ দিয়েছিলেন অনেকে। এসবই খুব উৎসাহের কথা। উদ্‌যাপন ‘পছন্দ’ মানুষের দেশে এটাই স্বাভাবিক। চোখের বা শরীরের অন্য কোনো পানি দিয়ে ফারাক্কা সমস্যার যে সমাধান সম্ভব নয়, এটা কি আমরা মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর মতো করে আত্মস্থ করতে পেরেছি? আহমদ ছফা বলতেন, ‘ফারাক্কা ব্যারাজের কারণে বাংলাদেশের যে সর্বনাশ ঘটছে, এটা তাঁর (ভাসানীর) চেয়ে স্পষ্ট করে কেউই বোঝে নাই।’

অনেকেই মনে করেন, ফারাক্কার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে (২১ এপ্রিল, ১৯৭৫) আমন্ত্রণ সত্ত্বেও বাংলাদেশের না যাওয়াটা ‘বেয়াদবি’ হলেও সে দিনের প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর প্রিয় মাওলানা ভাসানীর কথা শুনেছিলেন। মূলত ভাসানীর অনুরোধে তৎকালীন পানিসম্পদমন্ত্রী আবদুর রব সেরনিয়াবাতকে যাত্রা বাতিল করতে বলা হয়েছিল। ভারতের রাষ্ট্রদূত দুঁদে কূটনীতিক সমর সেন বিস্মিত হয়েছিলেন শেষ মুহূর্তের সেই সিদ্ধান্তে। মুখে কিছু না বললেও সেই অনুষ্ঠানের মধ্যমণি ভারতের কৃষি ও সেচমন্ত্রী জগজীবন রাম যে বেজার হয়েছিলেন, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। একাত্তরে তিনি ছিলেন ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী; হয়তো সেই সুবাদে তাঁর ধারণা ছিল, ওদের ডাকলেই চলে আসবে।

Scroll to Top