ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে এই সংঘাত বন্ধে এরই মধ্যে আহ্বান জানিয়েছে বিভিন্ন দেশ। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে এ নিয়ে ফোনালাপ করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। সৌদি যুবরাজ মোহাম্মাদ বিন সালমানও যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার ও তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের সঙ্গে কথা বলেছেন। মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা কমানোর বিষয়ে একমত হয়েছে রিয়াদ ও লন্ডন।
বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্যে রয়েছেন জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী জোহান ওয়েডফুল। ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে উত্তেজনা কমাতে কাজ করছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
এমন পরিস্থিতিতে ইরান কী করতে পারে, তার একটি ধারণা দিয়েছেন অ্যালান আয়ার। একসময় যুক্তরাষ্ট্রের হয়ে বিভিন্ন পরমাণু আলোচনায় অংশ নিয়েছিলেন তিনি। অ্যালান আয়ার বলেন, দেশের ভেতরে মুখ রক্ষার জন্য ইরানকে ইসরায়েলের হামলার সামরিকভাবে জবাব দিতে হবে। তবে এভাবে তারা ইসরায়েলকে থামাতে পারবে না।
ইরান কূটনৈতিক পথেও হাঁটতে পারে বলে উল্লেখ করেন এই বিশেষজ্ঞ। তিনি বলেন, কূটনৈতিক সমর্থন দেওয়ার মতো মিত্রের সংখ্যাও বিশ্বে ইরানের কম। আর সামরিক লক্ষ্য অর্জনের ক্ষেত্রে ইসরায়েল আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কথায় কান দেবে বলে মনে হয় না। এমন পরিস্থিতিতে ইরানের সামনে সবচেয়ে ভালো পথটা হলো ইসরায়েলের হামলার জবাব দিয়ে যাওয়া। পরে যখন ইসরায়েল থামবে, তখন ইরান নিজেদের প্রতিরক্ষা কৌশল নতুন করে সাজিয়ে নিতে পারবে—এমনকি পরমাণবিক অস্ত্র অর্জনের চেষ্টাও করতে পারবে।