জাতীয় দলে আসার আগে থেকেই নেতৃত্ব নিয়ে আলোচনায় ছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। যুব বিশ্বকাপে অধিনায়কত্ব করেছেন। জাতীয় দলে প্রথমবার নেতৃত্ব দেন গত নভেম্বরে। সেসময়ের নিয়মিত অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত চোট পাওয়ায় দুটি টেস্ট আর চার ওয়ানডেতে অধিনায়ক ছিলেন। এবার লম্বা সময়ের জন্য নেতৃত্বভার মিরাজের কাঁধে। মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা, মুশফিকুর রহিম, সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবালদের কাছ যা শিখেছেন সেসবের সবকিছুই কাজে লাগাতে চান তিনি।
নাজমুল হোসেন শান্তকে সরিয়ে বৃহস্পতিবার ওয়ানডে ফরম্যাটে বাংলাদেশের নতুন অধিনায়ক করা হয়েছে মিরাজকে। আগামী একবছরের জন্য ওয়ানডে অধিনায়কের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে টাইগার অলরাউন্ডারকে।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলতে দেশ ছাড়ার আগে শুক্রবার সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন নতুন ওয়ানডে অধিনায়ক মিরাজ। জাতীয় দলের নেতৃত্ব নিয়ে বলেছেন, ‘বাংলাদেশ দলে (ওয়ানডেতে) আমার অভিষেক হয়েছিল মাশরাফী ভাইয়ের অধীনে। খেলোয়াড় হিসেবে অনেক অধিনায়ককে পেয়েছি। এটা আমার জন্য ভালো লাগার বিষয় যে তাদের কাছ থেকে অনেক কিছু শিখতে পেরেছি। যেটা হয়তো আমার এই অধিনায়কত্বের সময়ে কাজে লাগাতে পারবো।’
সব সংস্করণ মিলিয়ে মিরাজ সবচেয়ে বেশি ৪১ ম্যাচ খেলেছেন সাকিব আল হাসানের অধীনে। মাশরাফীর অধীনে ৩৮ আর তামিমের নেতৃত্বে খেলেছেন ৩৫ ম্যাচে। নানা সময়ে তাদের কঠিন পরিস্থিতি সামলে নিতে দেখেছেন খুব কাছ থেকে। তাদের কাছ থেকে কোন জিনিসটা নিজে আয়ত্ত করার চেষ্টা করেছেন মিরাজ?
বললেন, ‘তারা যেভাবে সিদ্ধান্ত নিতো, শক্তভাবে সিদ্ধান্ত নিতো, সে জিনিসগুলো অনুসরণ করেছি যে কীভাবে নিতো। অনেক সময় কঠিন পরিস্থিতিতে শক্তভাবে সিদ্ধান্ত নিতে হয়। অনেক সময় পক্ষে আসবে, অনেক সময় আসবে না। কিন্তু ওই সিদ্ধান্ত কীভাবে নিচ্ছেন সেটা হচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ।’
‘আমার ক্যারিয়ার শুরুর সময় বড় ভাইদের কাছ থেকে যে দিকনির্দেশনা, সাহায্য-সহযোগিতা পেয়েছি, আমিও চেষ্টা করবো ড্রেসিং রুমকে এমন চাঙ্গা রাখতে। যাতে জুনিয়র ও অন্যান্য ক্রিকেটাররা কোনরকম শূন্যতা অনুভব না করে। আমি একা, আমার পাশে কেউ নেই, এটা যাতে অনুভব না করে। সবাইকে বুঝিয়ে দিতে চাই, ভেতরে একটা অনুভূমি জাগ্রত করতে চাই। এখানে আমরা সবাই একটা পরিবার।’