লাইফস্টাইল ডেস্ক : কুরবানির ঈদ মানেই গরু ও খাসির নানা পদ। কেবল ঈদের দিনই নয়, ঈদের পরেও টানা কয়েক দিন চলে মাংস খাওয়া। তবে, মাংস পরিমিত না খেলে কিংবা নিয়ম মেনে না খেলে স্বাস্থ্যঝুঁকি দেখা দিতে পারে। যারা উচ্চ রক্তচাপ, কিডনি ও ডায়াবেটিসের রোগী, তাদের মানতে হবে বাড়তি সাবধানতা।
ফরাজি হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক লিমিটেডের পুষ্টিবিদ নাহিদা আহমেদ জানান, প্রতিদিন একজন সুস্থ ব্যক্তি কতটুকু প্রোটিন খাবেন সেটা নির্ভর করে ওই ব্যক্তির আদর্শ ওজনের উপরে। একজন ব্যক্তির আদর্শ ওজন যদি ৬০ কেজি হয়, তাহলে তিনি প্রতিদিন ৬০ গ্রামের মতো প্রোটিন গ্রহণ করতে পারবেন। প্রতি ১০০ গ্রাম লাল মাংসে প্রায় ২৩ গ্রামের মতো প্রোটিন ও ২ দশমিক ৫ গ্রামের মতো ফ্যাট থাকে।
কিন্তু উক্ত ব্যক্তি যদি হিসেব মেলাতে প্রতিদিন প্রোটিনের অন্য সকল উৎস বাদ দিয়ে শুধু ২৬০ গ্রামের মতো লাল মাংস গ্রহণ করেন তার ৬০ গ্রাম প্রোটিনের চাহিদা পূরণে, এটি তার জন্য মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করবে। গরুর মাংস বেশি খাওয়া হলে অন্যান্য প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার এড়িয়ে চলুন।
কিডনি রোগী বা যাদের রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বেশি তারা গরুর মাংস না খেলেই ভালো করবেন। আবার হৃদরোগী, উচ্চ রক্তচাপ কিংবা কোলেস্টেরলের রোগীদের জন্যও গরুর মাংস এড়িয়ে যাওয়া ভালো। খেতে চাইলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে খাবেন।
গরুর মাংসে সোডিয়ামের পরিমাণ বেশি থাকে। ফলে অতিরিক্ত মাংস খেলে রক্তচাপ বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। এছাড়া গরুর মাংসে থাকা কোলেস্টেরল শিরায় জমে রক্ত চলাচলা বাধা দেয়। এতে হৃদরোগ ও হার্ট অ্যাটাকের আশংকা বেড়ে যায়।
ঈদে গরু কিংবা খাসির মাংস খাওয়া হবেই। মাংস খেতে বাধা নেই। তবে অতিরিক্ত খেয়ে শারীরিক জটিলতা না বাড়ানোই শ্রেয়। শারীরিক অবস্থা ও বয়স বুঝে মাংস কতোটুকু খাবেন সেটা ঠিক করুন। রেড মিট খেলে অনেক সময় কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দেখা দেয়। তাই প্রচুর পরিমাণে পানি, ফলের রস, ইসুবগুলের ভুসি ও অন্যান্য তরল খাবার খান। মাংস খেয়ে ক্যালোরির পরিমাণ যেন বেড়ে না যায়, সেজন্য প্রতিদিন নিয়মিত ব্যায়াম করুন ও হাঁটুন।