রাত পহালেই আগামীকাল সারাদেশে উদযাপন হবে ঈদুল আজহা। ঈদের দিন ঘনিয়ে আসার সাথে সাথে আপনার বাড়িটিকেও উৎসবমুখর পরিবেশে সজ্জিত করার সময় এসে যায়। যা উৎসবের আনন্দ এবং চেতনাকে প্রতিফলিত করে। ঘর নতুন করে সাজালে প্রাণবন্ত পরিবেশ তৈরি করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।
ঈদের সাজসজ্জায় ঐতিহ্যবাহী উপাদানগুলো অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন। এতে আপনার ঘরে এক ধরনের সংস্কৃতির ছোয়া লাগবে। ঝুলন্ত লাইট দিয়ে ঘর সাজাতে পারেন। উষ্ণ এবং আমন্ত্রিত আভা তৈরি করতে টেবিল এবং শেলফে এ সব লাইট রাখুন। রঙিন ইসলামী ক্যালিগ্রাফি আর্ট রাখতে পারেন। যা ধর্মীয় আয়াত বহন করে। ইসলামী সংস্কৃতির ক্রিসেন্ট দিয়ে দেয়ালগুলো সাজিয়ে নিতে পারেন।
- প্রথমেই ঘরের দেয়াল, কর্নার এবং আসবাবপত্রের ধুলা ঝাড়া মোছা করে নিন। যেহেতু এখন গরম, তাই ঘরের পরিবেশ ঠান্ডা রাখতে গাছ রাখতে পারেন। এতে পুরো ঘরের সৌন্দর্যই পাল্টে যাবে।
- প্রতিদিনের ব্যবহৃত চাদর বাদ দিয়ে নতুন চাদর বিছিয়ে দিন। তবে গরমের কথা মাথায় রেখে বিছানায় পরিষ্কার হালকা রঙের চাদর বিছাতে পারেন।
- সোফা ঝেড়ে পরিষ্কার করার পাশাপাশি সোফার কুশন কভার বদলে নিতে পারেন। সাথে ঘরের পর্দাও ।
- ফুলদানিতে কিছু তাজা ফুল সাজিয়ে নিন। দেখলেই মনটা সতেজ লাগবে। ফুল সতেজ রাখার জন্য ফুলদানির পানিতে একটি অ্যাসপিরিন ট্যাবলেট ছেড়ে দিন।
- ঈদের দিনে খাবার টেবিলের সাজ পায় বিশেষ গুরুত্ব। মজার মজার খাবার সাজানো হবে যে টেবিলে, সেটারও সাজসজ্জা হওয়া চাই উৎসব উপযোগী। এক্ষেত্রে টেবিলে একটু উজ্জ্বল ও গাঢ় রঙের ম্যাট ও রানার সুন্দর লাগবে।
- টেবিল ক্লথ বাছাইয়ের ক্ষেত্রে সাদা রঙের পরিবর্তে উষ্ণ রং বেছে নিতে পারেন।
- ঘরে সুগন্ধির ব্যবহার করতে পারেন। সুগন্ধিযুক্ত মোমবাতি অথবা ডিফিউজার ব্যবহার করতে পারেন। এতে ঘরের পরিবেশ প্রশান্তিদায়ক মনে হবে।