সকাল ১০টার দিকে শহরের নতুনহাট কোরবানির পশুর হাটে দেখা যায়, গরুর পাশাপাশি হাটটিতে দুই শ থেকে আড়াই শ খাসি এসেছে। তখন হাট খুব একটা জমেনি। এক ব্যক্তি একটি বড় খাসি নিয়ে বসে আছেন। কিছু ক্রেতা-বিক্রেতা হাটে এসেছেন। তাঁরা খাসিটিকে একনজর দেখছেন। তাঁদের কেউ খাসির দাম জিজ্ঞাসা করছিলেন। মালিক খাসির দাম ৫৫ হাজার টাকা চান। তখনো কেউ খাসিটির দাম বলেননি।
খাসিটির মালিক আতাউর রহমান। তিনি জামালগঞ্জ বাজারের বাসিন্দা। আতাউর রহমান জানান, দুই বছর আগে তিনি স্থানীয় হাট থেকে ১২ হাজার টাকায় ভারতের তোতাপুরী জাতের খাসিটি কিনে এনেছিলেন। খাসিটি সন্তানের মতো করে লালন-পালন করে বড় করেছেন। প্রতিদিন খাসিটিকে খড়-ভুসি ও ভাত খাওয়ান। খাসিটির ওজন ৬৫ কেজি। কোরবানির হাটে খাসিটি বিক্রি করবেন বলে ঠিক করে রেখেছিলেন। খাসির দাম ৫৫ হাজার টাকা চাইছেন। ক্রেতাদের কেউ ৪৮ হাজার আবার কেউ ৫০ হাজার টাকা দিতে চাইছেন। আরও বেশি টাকায় খাসিটি বিক্রি করতে চান আতাউর।