Bengal News: মেসের বাথরুম খুলতেই…চিৎকার! এ কী করল মেয়েটা..কী এমন ঘটেছিল বাড়ি ফেরার পর

Bengal News: মেসের বাথরুম খুলতেই…চিৎকার! এ কী করল মেয়েটা..কী এমন ঘটেছিল বাড়ি ফেরার পর

Last Updated:

তারপর থেকে মেয়ের সঙ্গে কোনওভাবে যোগাযোগ করতে পারেননি বাড়ির লোকজন। পরে এক বান্ধবীর নম্বরে ফোন করলে জানতে পারেন, তাঁদের মেয়ে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।

বাড়ি থেকে ফেরার পর মৃতদেহ উদ্ধার বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীর,চাঞ্চল্য বর্ধমানেBengal News: মেসের বাথরুম খুলতেই…চিৎকার! এ কী করল মেয়েটা..কী এমন ঘটেছিল বাড়ি ফেরার পর
বাড়ি থেকে ফেরার পর মৃতদেহ উদ্ধার বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীর,চাঞ্চল্য বর্ধমানে

বর্ধমান: বর্ধমানের শরৎপল্লি এলাকায় মেসে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীর অস্বাভাবিক মৃত্যুকে ঘিরে চাঞ্চল্য। রবিবার বিকেলে মেসের বাথরুমে জানালায় গলায় কাপড় দিয়ে ফাঁস লাগানো অবস্থায় তাঁকে ঝুলতে দেখেন অন্যান্য ছাত্রীরা। খবর পেয়ে বর্ধমান থানার পুলিশ অচৈতন্য দেহটি উদ্ধার করে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

মৃতের নাম কোয়েল অধিকারী (২১)। পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ায় তাঁর বাড়ি। তিনি বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে এমএসসির জুলজি বিভাগের পার্ট–১ এর ছাত্রী ছিলেন। ওই ছাত্রী আত্মঘাতী হয়েছেন বলে প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান। তবে কী কারণে তিনি আত্মঘাতী হয়েছেন?

তবে মেয়ের মৃত্যুকে আত্মহত্যা বলে মানতে নারাজ কোয়েলের পরিবার। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে,পাঁশকুড়া থানার কাঁটাবনী শাসন এলাকার বাসিন্দা প্রশান্ত অধিকারীর মেয়ে কোয়েল অধিকারী। বছর বাইশের এই তরুণী বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের এমএসসি-র প্রথম বর্ষের ছাত্রী ছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন একটি মেসে থাকতেন। রবিবার ভোরেই পাঁশকুড়ার বাড়ি থেকে মেসে যান তিনি।

তারপর থেকে মেয়ের সঙ্গে কোনওভাবে যোগাযোগ করতে পারেননি বাড়ির লোকজন। পরে এক বান্ধবীর নম্বরে ফোন করলে জানতে পারেন, তাঁদের মেয়ে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। যদিও পরিবারের অভিযোগ, ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষ এই বিষয়ে পরিবারের সঙ্গে এখনও কোনও যোগাযোগ করেনি। যে বান্ধবীর নম্বর থেকে বিষয়টি জানতে পারেন তাঁরা সেই বান্ধবী পরে ফোন সুইচ অফ করে দেন। পরে পরিবারের লোকজন বর্ধমান থানায় ফোন করে খোঁজখবর নিলে বিষয়টি জানতে পারেন।

জানা গিয়েছে, অধিকারী পরিবারের দুই মেয়ে। কোয়েল বড়। তাঁর বাবা বেঙ্গালুরুতে কর্মরত। পেশায় আশাকর্মী কোয়েলের মা রেখা অধিকারী বলেন, রবিবার ভোর সাড়ে চারটার সময় তাঁর মেয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল। মেসে পৌঁছে বাড়িতে ফোনও করেছিল কোয়েল। দুপুরে খাওয়া দাওয়ার পর থেকেই আর যোগাযোগ করা যায়নি কোয়েলের সঙ্গে। তার মৃত্যুর কারণ নিয়ে ধন্ধে পরিবারের সদস্যরা।

Scroll to Top