Last Updated:
India Pakistan tensions: ভারত-পাকিস্তান সংঘাতের মধ্যে কাশ্মীরে কাজে গিয়ে নিখোঁজ মালদহের নাবালক পরিযায়ী শ্রমিক। বাড়ির সঙ্গে শেষ কথা ১২ দিন আগে। যে সময় কার্যত যুদ্ধ চলছিল ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে। তারপর থেকেই খোঁজ নেই ওই কিশোরের।

গোপাল সূত্রধর, মালদহ: ভারত-পাকিস্তান সংঘাতের মধ্যে কাশ্মীরে কাজে গিয়ে নিখোঁজ মালদহের নাবালক পরিযায়ী শ্রমিক। বাড়ির সঙ্গে শেষ কথা ১২ দিন আগে। যে সময় কার্যত যুদ্ধ চলছিল ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে। বাড়িতে জানিয়ে ছিলেন খাবার সমস্যা হচ্ছে। এই পরিস্থিতির মধ্যে ফিরে যাবে বাড়ি। তারপর থেকে আর কোনও খোঁজ নেই। মোবাইল ফোন সুইচড অফ অবস্থায় রয়েছে। চরম উৎকণ্ঠায় পরিবার। কান্নায় ভেঙে পড়েছে মা। প্রশাসনের কাছে ছেলেকে ঘরে ফেরানোর কাতর আবেদন পরিবারের।
মালদহ জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর থানার সুলতাননগর গ্রাম পঞ্চায়েতের ডাটিওন গ্রামের বাসিন্দা আশফাক হক (১৭)। বাড়ির বড় ছেলে আশফাক। পরিবারে রয়েছে আরও দুই ছোট ভাই, বোন। আশফাক বয়সে এখনও নাবালক। কিন্তু তারপরেও পেটের টানে প্রায় ২০ দিন আগে পাড়ি দিয়েছিল কাশ্মীরে। সেখানে ঢালাই মিস্ত্রির কাজের জন্য গিয়েছিল সে। কিন্তু, আশফাক কাশ্মীরে পৌঁছনোর যাওয়ার দুই, তিন দিনের মধ্যেই ভারত-পাকিস্তানের অস্থিরতা শুরু হয়। পাকিস্তান বারবার হামলার চেষ্টা করে কাশ্মীরে। সরকারের পক্ষ থেকে সমস্ত কিছু বন্ধ করে দেওয়া হয়। দুই থেকে তিন রাত ব্ল্যাক আউট হয়। এই পরিস্থিতির মধ্যে সেখানেই ছিলেন আশফাক।
বাড়িতে মাকে ফোনে আশফাক বলেছিল বাড়ি ফিরে যাবে। কারণ, কাশ্মীরে খাবার নিয়ে সমস্যা হচ্ছে। গোলাগুলির শব্দ শুনতে হচ্ছে সব সময়। ১২ দিন আগে সেটাই শেষ কথা। তারপর থেকে মোবাইল ফোন সুইচ অফ। তার পরিবার বারবার যোগাযোগ করার চেষ্টা হলেও হয়নি সম্ভব। বিভিন্ন জায়গায় ফোন করে কোন খোঁজ পাননি। কোথায় গেল তাঁদের ছেলে? এখন কি পরিস্থিতিতে রয়েছে? কোন দুর্ঘটনা বা বিপদের স্বীকার হলো না তো কি না? এমন নানা দুশ্চিন্তায় কান্নায় ভেঙে পড়েছে পরিবারের লোকেরা।
হরিশ্চন্দ্রপুরের বিধায়ক তথা রাজ্যের প্রতিমন্ত্রী তাজমুল হোসেন খোঁজ নিয়ে পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন। উত্তর মালদহের বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মুও এই ঘটনাকে দুঃখজনক বলে কর্মসংস্থান নিয়ে রাজ্য সরকারকে দায়ী করে পরিযায়ী শ্রমিকের সন্ধানের জন্য পাশে থাকবেন বলে জানিয়েছেন।
Kolkata,West Bengal