River Erosion: একটানা বৃষ্টিতে নদী গিলতে আসছে প্রধান রাস্তা! তবুও হুঁশ নেই প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের

River Erosion: একটানা বৃষ্টিতে নদী গিলতে আসছে প্রধান রাস্তা! তবুও হুঁশ নেই প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের

Last Updated:

নদী আগের অবস্থান থেকে সরে এসেছে গ্রামের মূল রাস্তার দিকে। বর্তমানে শুধুই সময়ের অপেক্ষা, নদী ভাঙনে গ্রামের মূল রাস্তা বিলীন হয়ে যাবে।

X

River Erosion: একটানা বৃষ্টিতে নদী গিলতে আসছে প্রধান রাস্তা! তবুও হুঁশ নেই প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের

নদীর পাশেই গ্রামের মূল রাস্তা

সার্থক পণ্ডিত, কোচবিহার: একটানা বৃষ্টিতে জল বেড়েছে উত্তরের বেশিরভাগ নদীর। এবার কোচবিহারের ঝলঝলি নদীর ভাঙনে জর্জরিত পাটছড়া এলাকা। দীর্ঘ সময় ধরে এই গ্রামে নদী ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। এই গ্রামের একের পর এক জমি, নদী গর্ভে গিয়েছে ভাঙনের জেরে। নদী আগের অবস্থান থেকে সরে এসেছে গ্রামের মূল রাস্তার দিকে। বর্তমানে শুধুই সময়ের অপেক্ষা, নদী ভাঙনে গ্রামের মূল রাস্তা বিলীন হয়ে যাবে। বিগত বছরে ভাঙনের রূপ অনেকটাই ভয়াবহ ছিল। বর্তমানে বর্ষার মরসুম আসতেই আবারও ভাঙন পরিস্থিতি শুরু হয়েছে।

এই পরিস্থিতিতে গ্রামের বাসিন্দাদের অভিযোগ, “ভাঙন সমস্যা ক্রমশ বাড়লেও জেলা প্রশাসন কোনও সাহায্য করছে না। বিষয়টি রোধ করতে একাধিক প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না।” এলাকার এক স্থানীয় বাসিন্দা মহম্মদ আনারুল মিঞা জানান, “নদী ভাঙন প্রতি বছরের মত এই বছরও শুরু হয়ে গিয়েছে। পাড় ভাঙতে ভাঙতে গ্রামের মূল রাস্তার পাশে চলে এসেছে নদী। এইভাবে ভাঙন অব্যাহত থাকলে গ্রামের মূল রাস্তা তলিয়ে যাবে নদীতে। গ্রামের বহু চাষের জমি নদীর গর্ভে তলিয়ে গেছে। তাঁর নিজের জমিও নদীর গর্ভে চলে গিয়েছে। জেলা প্রশাসনকে একাধিকবার জানালেও কোন‌ও রকম ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।”

গ্রামের আরও দুই বাসিন্দা হাফু মিঞা এবং আয়ুব মিঞা জানান, “একের পর এক চাষের জমি নদী গর্ভে তলিয়ে যাচ্ছে। ফলে এই গ্রামে বেশ কিছু মানুষ আর্থিকভাবেও বিপর্যয়ের মুখে পড়েছেন। কী করে আগামী দিনে তাঁরা সংসার চালাবেন ভেবে পাচ্ছেন না। প্রশাসন আদৌ কোন‌ও ক্ষতিপূরণ দেবে কিনা তা নিয়েও সংশয় রয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত বহু প্রতিশ্রুতি পাওয়া গেলেও। কাজ এগোয়নি কিছুই। ফলে কার্যত অস্তিত্ব সঙ্কটে ভুগতে শুরু করেছেন বহু চাষি।” পঞ্চায়েত  প্রধান শুকিলা দাস জানান, \”ভাঙন নিয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”

তবে দীর্ঘ তিন বছরের বেশি সময় ধরে এই নদীর ভাঙন অব্যাহত। অঞ্চল অফিস থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে রয়েছে এই অবস্থা। তবুও কী হুঁশ ফিরবে না স্থানীয় প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের। নদীর ভাঙনে গ্রামের মূল রাস্তা চলে যাওয়ার পরেই তবে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে ভেবেছেন সকলে। যদিও গোটা বিষয়টি নিয়ে একরাশ ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দারা।

Scroll to Top