Last Updated:
Viral News: প্রথমে সেখানকার এক দম্পতি নিয়ে গিয়েছিলেন ঘরহারা পোষ্যটিকে। তাঁরা অবশ্য তাকে বরাবরের জন্য নিজেদের সঙ্গে রাখতে পারেননি। তারপর?

একা একাই পার্কে বসেছিল পাঁচেকের একটি পিটবুল-বক্সার। কাছে যেতেই দেখা যায় তাঁর কলারে বাঁধা রয়েছে একটি চিঠি। তবে সেই চিঠিতে যা লেখা ছিল, তা পড়ে চোখে জল আসতে বাধ্য!
কারণ সেই নোটে লেখা ছিল, “আমার বাবা এখন ঘরছাড়া আর আমায় কেউ দেখার নেই। আমি খুবই ভাল কুকুর। আমার বাবার মন ভেঙে গিয়েছে এবং তাঁর কাছে আমায় রাখার মতো আশ্রয় নেই। অনুগ্রহ করে আন্দ্রেকে প্রচুর ভালবাসা দেবেন আর ভাল ব্যবহার করবেন।”
আসলে জানুয়ারি মাসের শেষের দিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আটলান্টার পিডমন্ড পার্কে বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছিল আন্দ্রে নামে ওই পোষ্যটিকে। People-এর প্রতিবেদন থেকে জানা গিয়েছে যে, আন্দ্রের প্রাক্তন মালিক আসলে উদ্বাস্তু হয়ে পড়েছেন। তাই পোষ্যটির দেখভাল করতে পারছিলেন না। তাই পোষ্যটি যাতে যত্ন আর ভালবাসা পায়, তার জন্য একপ্রকার মরিয়া হয়েই তিনি আন্দ্রেকে পাবলিক পার্কে রেখে দিয়ে গিয়েছিলেন। যাতে কোনও সহৃদয় ব্যক্তির চোখে পড়ে যায় আন্দ্রে।
প্রথমে সেখানকার এক দম্পতি নিয়ে গিয়েছিলেন ঘরহারা পোষ্যটিকে। তাঁরা অবশ্য তাকে বরাবরের জন্য নিজেদের সঙ্গে রাখতে পারেননি। তাই আন্দ্রেকে সাহায্য করতে তার ছবি দিয়ে পুরো গল্পটি ফেসবুকে ভাগ করে নিয়েছিলেন। এদিকে এই পোস্ট চোখে পড়ে আটলান্টার নন-প্রফিট আইনজীবী তারা বোরেলির। আন্দ্রেকে দেখে সঙ্গে সঙ্গে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন তারা। তিনি জানান যে, জানুয়ারির শেষ দিকে তুষারপাত শুরু হওয়ার ঠিক আগেই আন্দ্রেকে ছেড়ে দিয়েছিলেন তার মালিক।
People-এর কাছে তারা বলেন যে, “সাহায্যের এই আবেদন আমার চোখে পড়েছিল। পিডমন্ট পার্কের কাছে বাঁধা অবস্থায় আন্দ্রেকে দেখা গিয়েছিল। আর তার কলারে ছিল একটি নোট। আমার মনে হয় যে, বেশি পরিমাণে মানুষ যাতে আন্দ্রেকে দেখতে পায় এবং তাকে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যায়, তার জন্যই তাকে পার্কে রেখে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন মালিক।”
এরপর কয়েক মাসের জন্য আন্দ্রের দায়িত্ব নিয়েছিলেন তারা। কিন্তু পাকাপাকি ভাবে পোষ্যটির দায়িত্ব নিতে পারেননি। কারণ তাঁর নিজের পোষ্যই শারীরিক সমস্যায় ভুগছিল। তবে ওই কয়েক মাসেই আন্দ্রের সঙ্গে তারার একটা মিষ্টি সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল বলে জানান তিনি। তাঁর কথায়, “আন্দ্রে সত্যিই দুর্দান্ত।” কিন্তু আন্দ্রেকে যাতে কেউ দত্তক নিয়ে নেন, তার জন্য মনে কষ্ট চেপেই এপ্রিলে একটি শেল্টারে দিয়ে এসেছিলেন তারা।
ফুলটন কাউন্টি অ্যানিম্যাল সার্ভিসেস-এর সাহায্যে সকলের চোখে আরও বেশি করে পড়তে শুরু করে আন্দ্রের গল্প। এলাকার পশুপ্রেমীরাও আন্দ্রের প্রতি সহানুভূতিশীল হয়ে পড়েছিলেন। ফলে মে মাসের গোড়ার দিকে আটলান্টাতেই নিজের একটা আশ্রয় খুঁজে পায় পাঁচ বছরের আন্দ্রে। সে নতুন আশ্রয়ে মানিয়ে নিতে পারছে কি না, সেটা দেখার জন্য কয়েক মাস সেখানে রাখা হবে তাকে। সব কিছু ঠিকঠাক চললে আন্দ্রেকে আনুষ্ঠানিক ভাবে দত্তক নেওয়া হবে। ফলে তার এই বেদনাদায়ক সফরের অবসান ঘটবে। হয়তো শীঘ্রই আশার আলো দেখবে খুদে পোষ্যটি।
Kolkata,West Bengal
Viral News: মালিক ঘরছাড়া, ঘর থেকে বের করে দেওয়া হল পোষ্য কুকুরকেও! সঙ্গে একটি চিঠি, কী লেখা জানেন? চোখে জল আসবে জানলে…