এদিকে ঢাকা উত্তর সিটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, অভিযানে ভেঙে দেওয়া রিকশার তিনজন চালককে বুধবার বিকেলে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে। ওই তিন চালকের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা তুলে দেন ঢাকা উত্তর সিটির প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ। এ ছাড়া করপোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগে ওই তিনজনকে চাকরি দেওয়া হয়েছে।
অভিযানে ১৬টি ব্যাটারিচালিত রিকশা গুঁড়িয়ে দেওয়া হলেও মাত্র তিনজনকে আর্থিক সহায়তা দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়েছিল ঢাকা উত্তর সিটির প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজের কাছে। মুঠোফোনে তিনি প্রথম আলোকে বলেন, নম্বর নিয়ে ওদের (রিকশাচালক) সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হচ্ছে। যদি আরও এমন ক্ষতিগ্রস্ত রিকশাওয়ালা পাওয়া যায়, যাঁদের নিজের রিকশা, তাঁদেরও আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে। তবে রিকশাওয়ালা পাওয়া যাচ্ছে না। ভাঙা বেশির ভাগ রিকশাই ব্যবসায়ীদের বলে জানান তিনি।
ঢাকা উত্তর সিটির প্রশাসক আরও বলেন, একজন রিকশাওয়ালার সম্বল, তাঁর কিস্তির টাকা—এই যে বয়ান তৈরি হয়েছে, এটা ভুল। এগুলো বাণিজ্যিক রিকশা, ব্যবসায়ীদের রিকশা। এখন হয়তো ওই রিকশাচালকেরা আরেক মালিকের রিকশা ভাড়ায় চালাবেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।