জুলাই শহীদদের মামলায় পুলিশের নাম থাকলে সেটিকে ১৩২ ধারায় ফেলে পেন্ডিং করে ন্যায়বিচারের পথ রুদ্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে জুলাই রেভ্যুলেশনারী এলায়েন্স (জেআরএ)।
আগামী ১২ মে (সোমবার) এর মধ্যে জুলাই গণহত্যার পেন্ডিং মামলাগুলোর অনুমোদন দেওয়া না হলে স্বরাষ্ট্র, আইন মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট ডিসি অফিসের সামনে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছে সংগঠনটি।
জুলাই আন্দোলনের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের সংগঠন জেআরএ এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জেআরএ জানায়, আমরা লক্ষ্য করছি আগস্ট মাসে দায়ের করা মামলাগুলো এখনও অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে, শুধুমাত্র এই কারণে যে অভিযুক্তদের মধ্যে পুলিশ সদস্যদের নাম রয়েছে। ফলস্বরূপ, ১৩২ ধারা প্রয়োগ করে মামলাগুলো আটকে রাখা হয়েছে। পুলিশ সদর দপ্তর এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আট মাস ধরে পড়ে থাকা ফাইলগুলোতে কোনো অগ্রগতি নেই।
জেআরএ জানায়, আমরা বারবার আইন মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট ডিসি অফিসগুলোকে স্মারকলিপি দিয়ে অনুরোধ করেছি, যেন এই ধারা বাতিল বা সংশোধন করে শহীদদের পরিবারকে ন্যায়বিচার দেওয়ার পথ খুলে দেওয়া হয়। কিন্তু আজও আমাদের এবং শহীদ পরিবারের আর্তনাদ শুনতে পায়নি রাষ্ট্রযন্ত্র।
‘‘আইন উপদেষ্টাকে ১৩২ ধারা বাতিল বা সংশোধন এর জন্য স্মারকলিপি দেয়া হয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জানানো হয় জুলাই শহীদের মামলাগুলো ১৩২ ধারায় আটকে আছে (মামলায় পুলিশের নাম থাকলে ১৩২ ধারায় ফেলে)। সেগুলো যেন অ্যাপ্রুভ করে দেয়। আগষ্টের মামলা এখনও পেন্ডিং আছে। ওনারা আমাদের এবং শহীদ পরিবারের কথা শুনে নাই।’’
সংগঠনটি জানায়, বিচারের জন্য অপেক্ষা, ৮ মাসে ধরে মামলার কাগজ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পরে আছে। পুলিশের গুলিতে শহীদ, পুলিশের নামে মামলা দিয়েছে, তাই মামলা অ্যাপ্রুভ হচ্ছে না। শহীদ পরিবারের সাথে এই ধরনের হঠকারী কাজ আমরা আর সহ্য করব না।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আমরা স্পষ্ট করে জানিয়ে দিচ্ছি- আগামী ১২ মে (সোমবার) এর মধ্যে যদি জুলাই গণহত্যার পেন্ডিং মামলাগুলো অনুমোদনের আওতায় না আনা হয় এবং ১৩২ ধারা বাতিল বা সংশোধনের বিষয়ে কোনও দৃশ্যমান সিদ্ধান্ত না আসে- তবে আমরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, আইন মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট ডিসি অফিসের সামনে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালন করব।