Last Updated:
Ground Report: এখানে কথা হচ্ছে দ্বারকা সেক্টর এ-১ এলাকার। যা আবার নাসিরপুর গ্রাম নামেও পরিচিত। এখানে রয়েছে একাধিক রেসিডেন্সিয়াল বিল্ডিং।

Report- Anjali Singh: একদিকে রাজধানী দিল্লির বুকে একটা বাড়ি কিনতে কোনও ব্যক্তির প্রায় গোটা জীবনের পুঁজিটাই চলে যায়। অন্যদিকে আবার সেখানে কিছু এলাকা রয়েছে, যেখানে লক্ষ লক্ষ টাকা দিয়ে বাড়ি করার পরেও তাঁদের প্রতারিত হতে হয়। এখানে কথা হচ্ছে দ্বারকা সেক্টর এ-১ এলাকার। যা আবার নাসিরপুর গ্রাম নামেও পরিচিত। এখানে রয়েছে একাধিক রেসিডেন্সিয়াল বিল্ডিং। যার মধ্যে অন্যতম হল – কুমুদী অ্যাপার্টমেন্ট, আইডিয়াল অ্যাপার্টমেন্ট এবং ইআইএল সোসাইটি। অথচ আজ সেখানকার মানুষ রীতিমতো রাগে ফুঁসছেন।
কুমুদী অ্যাপার্টমেন্টের বাসিন্দা অনিল ভার্মা বলেন যে, দিল্লি ডেভেলপমেন্ট অথরিটির তরফে এই জমিটি বরাদ্দ করা হয়েছিল কো-অপারেটিভ গ্রুপ হাউজিং সোসাইটিকে। কিন্তু বর্তমানে সেখানে অবৈধ ভাবে নাসিরপুর সবজি মান্ডি চালানো হচ্ছে। এর আগে ৬০-৭০টি কমিশন এজেন্টকে লাইসেন্স দিয়েছিল মার্কেটিং বোর্ড। কিন্তু বর্তমানে সেই সংখ্যা ২০০ অতিক্রম করে গিয়েছে। রিটেল শপও খুলে গিয়েছে। এখন শুধু হোলসেল ট্রেডই হচ্ছে না, তার সঙ্গে হোলসেল এবং রিটেল সেলের দোকানও খোলা হয়েছে। আর এই দোকানগুলি গজিয়ে উঠেছে রাস্তার ধারে। যার জেরে হাঁটাচলা করতে অসুবিধা হচ্ছে এলাকার বাসিন্দাদের।
রাস্তার এমন শোচনীয় অবস্থা যে, ভোরবেলা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত এখানে তীব্র যানজট দেখা দেয়। ট্রাক, ই-রিকশা এবং অবৈধ পার্কিংয়ের জেরে দুর্বিষহ হয় বাসিন্দাদের জনজীবন। নম্বর প্লেটবিহীন ট্রাক, গাড়ি এবং ই-রিকশা বিনা বাধায় এখানে চলাচল করে। বাসিন্দাদের অভিযোগ, রাস্তা এখন পার্কিংয়ের জায়গা হয়ে উঠেছে। এমনকী এই আলাকায় আসতে চায় না স্কুল বাসগুলিও। ফলে বাচ্চাদের স্কুলে পাঠানোটাই একটা চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। অনিল ভার্মার বক্তব্য, আমরা এমসিডি, দিল্লি পুলিশ এবং ট্র্যাফিক পুলিশের কাছে বারংবার অভিযোগ জানিয়েছি। কিন্তু কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। রাত প্রায় ২টো পর্যন্ত চলাচল করে ট্রাক। যার জেরে মানুষের ঘুমের ব্যাঘাত ঘটছে।
মহিলাদের নিরাপত্তাও প্রশ্নের মুখে: আইডিয়াল অ্যাপার্টমেন্টের বাসিন্দা রাজেশ কন্নৌজিয়ার কথায়, “রাস্তায় দাঁড়িয়ে মদ্যপান করা এখানে খুব সাধারণ বিষয়। মহিলাদের সঙ্গে অশ্লীল আচরণ এবং ছিনতাইও প্রায় নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা। এখন তাই বাড়ির মেয়েরা সন্ধ্যার পর বাইরে যেতে চান না। ভদ্র পরিবারের পক্ষে এই এলাকাটি আর বাসযোগ্য নেই।”
প্রবীণ নাগরিক এবং শিশুদের জীবন বিপন্ন: ইআইএল সোসাইটির সেক্রেটারি গুরচরণ কৌর বলেন যে, “বায়ু এবং শব্দ দূষণ এখানে মাত্রাতিরিক্ত। ফলে বয়স্করা প্রাতর্ভ্রমণে যেতে পারেন না। আর শান্তিতে দু’দণ্ড বসতেও পারেন না। দিন-রাত গাড়ির হর্নের আওয়াজ এবং গতিবিধি আমাদের জীবনকে নরক করে তুলেছে।” তিনি এ-ও জানালেন যে, তাঁর পরিবার এখন ওই এলাকা ছেড়ে তাঁকে অন্যত্র চলে যেতে বলছে।
মামলা ঝুলে রয়েছে: ইআইএল সোসাইটির প্রেসিডেন্ট সুবজিৎ সিং বলেন যে, “হাইকোর্টে আমরা মামলা দায়ের করেছি। আমরা এ-ও জেনেছি যে, ডিসি কাপাশেরা ইতিমধ্যেই এ নিয়ে মামলা দায়ের করেছে। কিন্তু আদালতের তারিখের পর তারিখ এসে যায়। কিন্তু বিরোধী পক্ষ হাজিরা দেওয়ার সময় পায় না। এখন প্রত্যেকেই ক্লান্ত। আদালতে ঝুলে রয়েছে মামলা।” এলাকার অন্যান্য সোসাইটির বাসিন্দারাও অভিযোগ করছেন, রাস্তা এতটাই সংকীর্ণ হয়ে গিয়েছে যে, ছোটখাটো দুর্ঘটনা রোজ লেগেই থাকে। বাচ্চাদের পিক-আপ তরতে আসে না স্কুল বাসও। সেই কারণে অভিভাবকদেরই নিজেদের বাচ্চাদের স্কুলে পৌঁছে দিতে হয়।
Summer Special Darjeeling Toy Train: গরমের ছুটিতে দার্জিলিং যাচ্ছেন? একগুচ্ছ বাড়তি টয় ট্রেনের সময়সূচি জেনে নিন এখনই