Last Updated:
নদীতে বাঁধ না থাকায় প্রতিবছরই নদী গ্রাস করছে এলাকার বাসিন্দাদের জমি

গোবরজ্যোতি নদী
আলিপুরদুয়ার: বর্ষা এলেই আতঙ্কে ঘুম উড়ে যেত জয়গাঁ গোবরজ্যোতি ও যোগিখোলা নদী সংলগ্ন এলাকার মানুষদের। নদীতে বাঁধ না থাকায় প্রতিবছরই নদী গ্রাস করছে এলাকার বাসিন্দাদের জমি। এই পরিস্থিতিতে ভিটেমাটি হারানোর আশঙ্কা করছিলেন বাসিন্দারা। তবে এবার সেচ দফতর ও জয়গাঁ উন্নয়ন পর্ষদের পক্ষ থেকে এই নদীগুলিতে বাঁধ দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
ইতিমধ্যে এলাকা সরেজমিনে পরিদর্শনও করেন সেচ দফতরের আধিকারিক ও জয়গাঁ উন্নয়ন পর্ষদ চেয়ারম্যান গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা। সাড়ে ৩ কোটি টাকার বরাদ্দে এই দুই নদীর দুদিকে প্রায় ৫০০ মিটারের বাঁধ তৈরি করা হবে বলে প্রশাসন সূত্রে খবর। বাঁধ তৈরি হওয়ার কথা শুনে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেন দুই নদীর পার্শ্ববর্তী এলাকার বাসিন্দারা। একাধিক ঝোড়া ও নদীতে ঘিরে রয়েছে এই জয়গাঁ শহর। বিশেষ করে জয়গাঁ এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের আপার খোকলাবস্তি, লিম্বুলাইন, রাইগাঁও এই এলাকার পাশ দিয়েই বয়ে চলেছে গোবরজ্যোতি ও যোগিখোলা নদী। বছরের অন্যান্য সময় এই নদী শুকনো থাকলেও, বর্ষায় ভুটান পাহাড়ের জল এই দুই নদীতে মিলিত হওয়ায় ভয়ংকর রূপ নেয় এই নদী। প্রতিবছরই কয়েকশো বাসিন্দার জমি, এলাকার সড়ক এতে বিলীন হয়ে গিয়েছে বলে দাবি বাসিন্দাদের।
আরও পড়ুন: হাতির দখলে চলে গেল চা বাগান! কাজ করতে না পেরে ঘরে ফিরলেন শ্রমিকরা
বছরের অন্যান্য সময় এই নদীতে জল দেখা যায়না। কিন্তু বর্ষাকালে ফুলেফেঁপে ওঠে দুই নদী। গোবরজ্যোতি ও যোগিখোলা নদীর ভয়াবহ রূপ সম্পর্কে ওয়াকিবহাল জয়গাঁ এক গ্রাম পঞ্চায়েতের রাইগাঁও, খোকলাবস্তির মানুষেরা। বর্ষাকালে এলাকার মানুষের জীবন দুর্বিষহ করে তোলে এই দুই নদী। নদীতে বাঁধ না থাকায় গোবরজ্যোতি ও যোগিখোলা প্রতি বর্ষায় কেড়েছে এলাকার মানুষদের ঘর, জমি, সুপরিবাগান। অবস্থাপন্ন বাড়ির মানুষেরা এই দুই নদীর কারণে সর্বশান্ত হওয়ার পথে গিয়েছেন। এলাকাবাসীদের সকলের দাবি ছিল, এই দুই নদীর বাঁধ দেওয়ার। যদিও আগে পাথর জালির বাঁধ ছিল এলাকায়। কিন্তু বর্ষায় ধেয়ে আসা দুই নদীর জলের স্রোত ধীরে ধীরে গ্রাস করেছে সেই পাথর জালির বাঁধকেও। এবারে তাই পাকা বাঁধ দেওয়া হবে দুই নদীতে। দুপাশে মিলিয়ে দুই নদীতে চারটি বাঁধ দেওয়া হবে। খুব শীঘ্রই শুরু হবে কাজ।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এই বিষয়ে জেডিএ চেয়ারম্যান গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা জানান, “প্রতি বছর বর্ষার সময় এই দুই নদীর পাড়ে যে হা হা কার দেখা যায় তা সকলে জানেন। এলাকার বাসিন্দারা পাকা বাঁধের দাবি রেখেছিল। কাজটি শুরু হবে। মানসিকভাবে শান্তি পাচ্ছি আমিও।”
Annanya Dey
Kolkata [Calcutta],Kolkata,West Bengal
April 24, 2025 2:30 PM IST
Alipurduar News: হাতির দখলে চলে গেল চা বাগান! কাজ করতে না পেরে ঘরে ফিরলেন শ্রমিকরা