বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, গণতান্ত্রিক অগ্রগতি দেখতে পাচ্ছি না। গণতন্ত্রের মজবুত কাঠামো তৈরির প্রস্তুতি খুব ধীর গতিতে পরিচালিত হচ্ছে। দ্রুত শেষ করে নির্বাচনের প্রত্যাশা মানুষের।
বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জরুরী সংবাদ সম্মেলনে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
শেখ হাসিনার দোসররা আদালতে দাঁড়িয়ে হুমকি-ধামকির মাধ্যমে অন্তর্বর্তী সরকারকে অকার্যকর করার চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নীরবতায় তারা এই সুযোগ পাচ্ছে বলে মত রিজভীর। এসময়, যারা দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে তাদেরকে দমন করার দায়িত্ব সরকারের, রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপির দায়িত্ব নয় বলে জানান বিএনপির এই নেতা।
তিনি বলেন, পতিত ফ্যাসিস্ট নেতারা আদালতে দাঁড়িয়ে শহীদ জিয়া এবং বেগম জিয়ার নামে মিথ্যাচার করছে। গণহত্যার জন্য ক্ষমা না চেয়ে খুনী নেতারা আরও ভয়ঙ্কর রূপে ফিরে আসার হুমকি দিচ্ছে। প্রকাশ্য আদালতে দাঁড়িয়ে হুমকি দিচ্ছে। শেখ হাসিনা ভারত থেকে হুমকি দিচ্ছে। হাসিনার খুনী নেতারা আদালতে দাঁড়িয়ে হুমকি মূলত ইউনূস সরকারকে ব্যর্থ করার চেষ্টা। অথচ খুনী নেতাদের জামাই আদর করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, হাসিনার সময়ে বিরোধী নেতাদের ডিভিশন দেয়া হয়নি। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নীরবতায় তারা এমন আচরণ করছে। পুলিশ প্রশাসনে হাসিনার লোক বসে থাকায় এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। গত ১৭ বছরে বিএনপিপন্থী কাউকে প্রশাসনে থাকতে দেয়া হয়নি। এ সরকারও বিএনপির লোকদের গুরুত্বপূর্ণ পদে রাখছে না।
তিনি বলেন, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় পতিত স্বৈরাচার এর স্বর উঁচু হচ্ছে। শেখ হাসিনা পাচার করা অর্থ দিয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায়। প্রশাসনের রন্ধ্রে রন্ধ্রে থাকা পতিত স্বৈরাচার এর দোসরদের সহযোগিতায় রাস্তায় নামছে পতিত ফ্যাসিস্টরা। বিভিন্ন জনের ওপর হামলা করছে। শিল্পী মানবেন্দ্র ঘোষের ঘর পোড়ানো হয়েছে।
রুহুল কবির বলেন, যেসব ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান হাসিনাকে প্রকাশ্যে গণহত্যায় সহায়তা করেছে তারা ধরাছোঁয়ার বাইরে। তারা সবাই বহাল তবিয়তে। হাটবাজারসহ সর্বত্র ফ্যাসিস্টরা বহাল তবিয়তে আছে। সরকারের দুই একজনকে টাকা দিয়ে তারা টিকে আছে। দল হিসেবে প্রতিহত করা হবে গুণ্ডামি। প্রতিহত করা সরকারের দায়িত্ব। ফ্যাসিবাদের দোসরদের বিরুদ্ধে সরকারকে ব্যবস্থা নিতে হবে।