North Bengal News: জাঁকজমকে মেতে ওঠেন এলাকাবাসী, উত্তরবঙ্গে পূজিত হন লৌকিক সংস্কৃতির এই দেবতা

North Bengal News: জাঁকজমকে মেতে ওঠেন এলাকাবাসী, উত্তরবঙ্গে পূজিত হন লৌকিক সংস্কৃতির এই দেবতা

Last Updated:

North Bengal News: উত্তরবঙ্গের কৃষ্টি ও লোকসংস্কৃতিতে অন্যতম জায়গায় রয়েছেন মাশান দেব। বহু মানুষ ভক্তিভরে এই দেবতার পুজো করেন।

X

North Bengal News: জাঁকজমকে মেতে ওঠেন এলাকাবাসী, উত্তরবঙ্গে পূজিত হন লৌকিক সংস্কৃতির এই দেবতা

মাশান দেবতা

সার্থক পণ্ডিত, কোচবিহার: উত্তরবঙ্গের স্থানীয় মানুষ সাড়ম্বরে এই দেবতার পুজোয় মেতে ওঠেন। দীর্ঘ প্রায় ৭৬ বছর ধরে এই দেবতার পুজোর আয়োজন করা হয় তোর্সা নদীর রানিবাগান ফাঁসির ঘাট এলাকায়। বেশ জাঁকজমকের সঙ্গেই এই দেবতার পুজোর দিন আনন্দে মেতে ওঠেন গোটা এলাকার বাসিন্দারা। সকালে হয় পুজোর আয়োজন। তারপর দুপুর থেকে শুরু হয় খিচুড়ি ভোগ বিতরণ। চলে একেবারে সন্ধে পর্যন্ত। তবে কেন শুধুই এই দেবতার পুজো করা হয়? অন্য দেবতার পুজো হয় না কেন?

এই বিষয়ে এলাকার এক স্থানীয় বাসিন্দা দেবাশিস দাস জানান, দীর্ঘ ৭৬ বছর আগে তাঁদের বাবা-কাকারা এই পুজোর সূচনা করেছিলেন। তখন এই মন্দির অস্থায়ী মন্দির ছিল। সেই থেকে এই পুজো হয়ে আসছে এই এলাকায়। তবে বর্তমানে এই মন্দির পাকা হয়েছে। পুজোর জাঁকজমকও বেড়েছে বেশ অনেকটাই। ছোট পুজো এখন অনেকটাই বড় আকারে করা হয়ে থাকে। দিন যত গড়াচ্ছে পুজোর জাঁকজমক ততটাই বেড়ে চলেছে। আগামীতে হয়তো তাঁদের ভবিষ্যত প্রজন্ম এই পুজোর দায়িত্ব সামলাবে। তবে এই পুজোয় মন্দির চত্বরে আসা সকল ভক্তদের প্রসাদ দেওয়া হয়।

কোচবিহারের রাজবংশী সংস্কৃতির ব্যক্তি এনবিএসটিসির চেয়ারম্যান পার্থপ্রতিম রায় জানান, “উত্তরবঙ্গের কৃষ্টি ও লোকসংস্কৃতিতে অন্যতম জায়গায় রয়েছেন মাশান দেব। বহু মানুষ ভক্তিভরে এই দেবতার পুজো করেন। তবে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন এলাকায় বিভিন্ন ধরনের মাশান দেবতার মূর্তি দেখতে পাওয়া যায়। কিছু ক্ষেত্রে মূর্তিও পাওয়া যায় না, শুধুই নাম জানতে পারা যায়। একেবারে সাধারণ লোকাচারে আটিয়া কলা, চিঁড়া, দই, পোড়া মাছ দিয়ে দেবতাকে ভোগ নিবেদন করা হয়।” পুজো কমিটির সদস্য রঞ্জিত রায় জানান, “এলাকার মানুষ এই পুজোয় স্বতঃস্ফূর্তভাবে যোগদান করেন।”

আরও পড়ুন : মাছি তাড়াচ্ছেন লাল শালু মোড়া খাতার বিক্রেতারা, ডিজিটাল দেনাপাওনার যুগে প্রয়োজন ফুরিয়েছে নববর্ষের হালখাতার? উত্তর খুঁজছে পয়লা বৈশাখ

পুজোর দিনে এলাকায় রীতিমত উৎসবের আমেজ লক্ষ করা যায়। ছোট থেকে বড় সকলেই পুজোর দিনে মন্দিরেই কাটান। এই দেবতা দেখতে কিছুটা ভয় হয় ঠিকই। তবে দেবতার এই রূপের কারণেই তাঁকে অনেকটাই সমীহ করে চলেন বহু মানুষজন। তবুও পুজোতে মানুষের ভিড় কমে না।

Next Article

Agriculture News: সবজি চাষ ছেড়ে ফুল চাষে ব্যস্ত গোটা গ্রাম! হঠাৎ কী এমন হল?

Scroll to Top