সমস্যা সমাধানে অলীক চিন্তা না করে বাস্তববাদী হতে বললেন ফখরুল

সমস্যা সমাধানে অলীক চিন্তা না করে বাস্তববাদী হতে বললেন ফখরুল

পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে রাজধানীর গুলিস্তানের ফুটপাতের দোকানগুলোতে জমে উঠেছে বেচাকেনা। মানুষের সমাগমে জমজমাট হয়ে উঠেছে এই দোকানগুলো। মানুষ তাদের পছন্দের জিনিসটি কিনতে ভিড় করছেন গুলিস্তানের ফুটপাতে।

শুক্রবার (২১ মার্চ) বিকেলে গুলিস্তানে গিয়ে এমন চিত্র দেখা গেছে।

শুধু নিম্নআয়ের মানুষই নয়, নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষেরও কেনাকাটার প্রিয় ঠিকানা এই ফুটপাত। এখানে পোশাক থেকে শুরু করে প্রয়োজনীয় অনেক কিছুই পাওয়া যায়।

সরেজমিনে দেখা যায়, ফুটপাতের দোকানগুলোতে প্যান্ট, শার্ট, পাঞ্জাবি, জুতা, বেল্ট, শিশুদের পোশাক, লুঙ্গি, মেয়েদের পোশাক, ট্রাউজার, পায়জামা, টি-শার্ট, ঘড়ি, শাড়ি, মানিব্যাগ, চশমা সবই মেলে, যা অন্যান্য মার্কেটের তুলনায় সস্তা। এখানে ৩০০ থেকে ৯০০ টাকায় পাঞ্জাবি, ২৫০ থেকে ৪০০ টাকায় বিভিন্ন ধরনের পায়জামা, ২০০ থেকে ৫০০ টাকায় শার্ট, ১০০ থেকে ২৫০ টাকায় টি-শার্ট, ১৫০ থেকে ৫০০ টাকায় জুতা, ৩৫০ থেকে ৬৫০ টাকায় প্যান্ট ও ৩০০ টাকায় লুঙ্গি পাওয়া যাচ্ছে।

সমস্যা সমাধানে অলীক চিন্তা না করে বাস্তববাদী হতে বললেন ফখরুল


ফুটপাতের দোকানগুলোতে ক্রেতাদের আনাগোনা বেড়েছে। যেখানে পাঞ্জাবি, পায়জামা, প্যান্ট, শার্ট ও জুতার দোকানে ভিড় জমেছে। সব মিলিয়ে, গুলিস্তানের ফুটপাতের ঈদ বাজার ক্রেতা-বিক্রেতা সবার জন্যই ব্যস্ত সময় নিয়ে এসেছে।

বিক্রেতারা জানান, ঈদ উপলক্ষে শেষ মুহূর্তে ঢাকা ছাড়া স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য অপেক্ষা করছি। এছাড়া গতবারের তুলনায় এবারের বেচাকেনা কিছুটা কম বলে জানান তারা।

ইদ্রিস নামের একজন বিক্রেতা বলেন, বেচাকেনা এখনো ভালোভাবে জমে উঠেনি। গতবারের তুলনায় এবার বেচাকেনা কিছুটা কম। তবে আরও ২-৩ দিন পর বাড়বে বলে আশা করছি।

মুজাহিদ নামের আরেক বিক্রেতা বলেন, বেচাকেনা স্বাভাবিক রয়েছে। হিসাব করলে বেচাকেনা আগের মতোই আছে। ২৬ থেকে ২৯ রমজানের দিকে বেচাকেনা বেশি বাড়বে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন তিনি।

আফতাব নামের একজন ক্রেতা বার্তা২৪.কমকে বলেন, মার্কেটগুলোর তুলনায় ফুটপাতের দোকানগুলোতে কমদামে জামাকাপড় পাওয়া যায়। বাজেটের মধ্যে সাচ্ছন্দ্যে এখান থেকে জামাকাপড় কিনতে পারি। আমাদের মতো নিম্ন মধ্যবিত্তদের মূল ভরসা এই ফুটপাত।



তবে, অন্যান্য সময়ের তুলনায় ঈদের সময় বিক্রেতারা জামাকাপড়ের দাম বেশি রাখছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ব্যবসায়ীরা তো দাম একটু বেশি চাচ্ছে। কিন্তু, ফুটপাত হওয়ায় দামাদামি করে কেনা যাচ্ছে। আর ঈদের সময় সবাই একটুআধটু দাম কিছুটা বেশি রাখে।

দাম বেশি রাখার কারণ সম্পর্কে বিক্রেতাদের থেকে জানতে চাইলে তারা জানান, ঈদের সময় একটু দাম বেশি না রাখলে, আর কোন সময় রাখবো? বছরে তো ঈদ দু’বারই আসে। একটুআধটু দাম বেশি রাখতে হয়। আমাদেরও তো পরিবার আছে।

Scroll to Top