গাজর খেলে চোখ ভাল থাকে, কারণ গাজরে থাকা ভিটামিন এ এবং অন্যান্য খনিজ শরীরের জন্য অত্যন্ত কার্যকর। দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধিতেও তা সাহায্য করে। গাজর ছাড়াও দৃষ্টিশক্তি ভাল রাখতে দারুণ কার্যকর পেস্তা বাদাম।
ভিটামিন এ দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতে সহায়তা করে, অন্যদিকে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড চোখের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। চোখ ভালো রাখার জন্য শিশুদের বিভিন্ন রঙিন ফল ও শাকসবজি খাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।
বিশেষজ্ঞরা বলছে, দৃষ্টিশক্তি ভাল রাখতে খাওয়া যায় পেস্তাও। বাদাম হিসাবে তা শুধু সুস্বাদুই নয়, পুষ্টিগুণেও ভরপুর।
যুক্তরাষ্ট্রের টাফ্টস বিশ্ববিদ্যালয় এক গবেষণায় দেখেছে, ‘ম্যাকিউলার ডিজেনেরশন’-এর মতো চোখের অসুখ ঠেকাতে পারে পেস্তা। বয়স হলে এই অসুখের ঝুঁকি বেড়ে যায়। তার ফলে আবছা দেখতে শুরু করেন বা দৃষ্টিশক্তিও হারিয়ে ফেলেন অনেকে। রেটিনায় থাকে ম্যাকিউলা। তার কর্মক্ষমতা কমে গেলে এই সমস্যা দেখা দিতে পারে।
গবেষণায় দেখার চেষ্টা করা হয়, প্রতিদিন দু’মুঠো পেস্তা খেলে বয়সকালেও দৃষ্টিশক্তি ধরে রাখা সম্ভব কি না, তা দেখা। দেখা গিয়েছে, এই বাদামে থাকা লুটেন ম্যাজিকের মতো কাজ করে। ‘এজ-রিলেটেড ম্যাকিউলার ডিজেনারেশন’ বা এএমডি-র মতো অসুখ প্রতিরোধে তা সক্ষম। ম্যাকুলায় থাকা লুটিন চোখের কোষকলাকে সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মির হাত থাকে বাঁচাতে সাহায্য করে। সহজ ভাবে বললে, এটি ফিল্টার হিসাবে কাজ করে। কোনও কারণে সেই উপাদানের ঘনত্ব কমলে, দৃষ্টিশক্তিতেও তার প্রভাব পড়ে।
এই বিষয়ে গবেষক ট্যামি স্কট বলছেন, গবেষণালব্ধ ফল বলছে, পেস্তা শুধু সুস্বাদু খাবারই নয় বরং দৃষ্টিশক্তি ভাল রাখতে তার বিশেষ ভূমিকাও রয়েছে। চোখের জন্য অত্যন্ত উপকারী লুটিনের জোগানদাতা এই বাদাম।
পরীক্ষা করে দেখেছেন, দু’মুঠো পেস্তা বাদাম নিয়মিত খেলে ম্যাকিউলার পিগমেন্ট অপটিক্যাল ডেনসিটি (এমপিওডি) বাড়ে। বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে এমপিওডি কমে যায়। আর তাতেই দৃষ্টিশক্তি ক্ষয়ের ঝুঁকি তৈরি হয়। পেস্তায় থাকা লুটিন চোখের প্রয়োজনীয় উপাদানটি জোগান দেয়। দেখা গিয়েছে, বয়স্কদের দৃষ্টিশক্তি ভাল রাখতেও পেস্তা বিশেষ কার্যকর।