৪৩ দেশের ওপর ট্রাম্প প্রশাসনের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা | চ্যানেল আই অনলাইন

৪৩ দেশের ওপর ট্রাম্প প্রশাসনের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা | চ্যানেল আই অনলাইন

এই খবরটি পডকাস্টে শুনুনঃ

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন বিশ্বের ৪৩টি দেশে বিভিন্ন মাত্রায় ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপের পরিকল্পনা করছে।

নিউইয়র্ক টাইমস ও রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই নিষেধাজ্ঞা ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদের নিষেধাজ্ঞার চেয়েও ব্যাপক হতে পারে। যদিও নিউইয়র্ক টাইমস ৪৩টি দেশের কথা উল্লেখ করেছে, রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে ৪১টি দেশ এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়তে পারে।

এই নিষেধাজ্ঞা তিনটি ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে

১. সম্পূর্ণ ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা: প্রথম ভাগে ১০টি দেশ রয়েছে, যাদের ওপর সম্পূর্ণ ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে। রয়টার্সের মতে, এই তালিকায় রয়েছে আফগানিস্তান, ইরান, সিরিয়া, কিউবা এবং উত্তর কোরিয়া। তবে নিউইয়র্ক টাইমসের তথ্য অনুযায়ী, এই পাঁচ দেশ ছাড়াও ভুটান, লিবিয়া, সোমালিয়া, সুদান, ভেনিজুয়েলা এবং ইয়েমেনও এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হতে পারে।

২. আংশিক ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা: দ্বিতীয় ভাগে পাঁচটি দেশ রয়েছে, যাদের ওপর আংশিক ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে। রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই তালিকায় রয়েছে ইরিত্রিয়া, হাইতি, লাওস, মিয়ানমার এবং দক্ষিণ সুদান। নিউইয়র্ক টাইমসের মতে, এই তালিকায় আরও যুক্ত হতে পারে বেলারুশ, পাকিস্তান, রাশিয়া, সিয়েরা লিওন এবং তুর্কমিনিস্থান। এই নিষেধাজ্ঞার ফলে এসব দেশের পর্যটক এবং শিক্ষার্থীদের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণে প্রভাব পড়তে পারে।

৩. ৬০ দিনের সময়সীমা: তৃতীয় ভাগে রয়েছে ২৬টি দেশ (রয়টার্সের মতে) বা ২২টি দেশ (নিউইয়র্ক টাইমসের মতে)। এই দেশগুলোর নাগরিকদের মার্কিন ভিসা আংশিকভাবে স্থগিত করা হতে পারে। তবে এই দেশগুলো যদি ৬০ দিনের মধ্যে ভিসা যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়ার ঘাটতি দূর করতে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়, তাহলে নিষেধাজ্ঞা পুনর্বিবেচনা করা হবে।

এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হলে আন্তর্জাতিক ভ্রমণ ও সম্পর্কের ওপর উল্লেখযোগ্য প্রভাব পড়তে পারে। বিশেষ করে, যেসব দেশের নাগরিকরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণ, শিক্ষা বা ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য নিয়মিত যাতায়াত করেন, তাদের জন্য এই নিষেধাজ্ঞা বড় ধরনের বাধা সৃষ্টি করতে পারে।

Scroll to Top