ঢাকায় ফেরার নির্দেশ অগ্রাহ্য করে কানাডায় গেছেন রাষ্ট্রদূত হারুন রশিদ

ঢাকায় ফেরার নির্দেশ অগ্রাহ্য করে কানাডায় গেছেন রাষ্ট্রদূত হারুন রশিদ

প্রায় তিন মাস আগে সরকারের দাপ্তরিক আদেশ অগ্রাহ্য করে অন্য দেশে চলে গিয়ে নিজেকে ‘নির্বাসিত’ দাবি করা এই কূটনীতিকের বিরুদ্ধে শেষ পর্যন্ত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছে সরকার। শুক্রবার সন্ধ্যায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে সরকারি নির্দেশকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে অন্য দেশে চলে যাওয়া কূটনীতিক এবং তাঁর পরিবারের পাসপোর্ট বাতিলের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলেছে। তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের কথাও উল্লেখ করেছে মন্ত্রণালয়।

সাবেক কয়েকজন কূটনীতিক মরক্কোতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হারুন আল রশিদের মন্ত্রণালয়ের আদেশ অগ্রাহ্য করে অন্য দেশে চলে যাওয়া এবং সরকারের বিরুদ্ধে সরাসরি বিষোদ্‌গারকে নজিরবিহীন বলে মন্তব্য করেছেন। কারণ, চাকরিতে থাকা অবস্থায় কোনো কূটনীতিকের এমন ভূমিকা অকল্পনীয় বলে তাঁদের মত।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তির প্রসঙ্গ টেনে সাবেক একাধিক কূটনীতিক মন্তব্য করেছেন, ডিসেম্বরে ঢাকায় ফেরার নির্দেশ দিয়ে এই তিন মাসে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তো হাত গুটিয়ে বসে ছিল। তা ছাড়া ঢাকায় না এসে প্রায় আড়াই মাস মরক্কোর দায়িত্ব ছেড়ে তিনি কোথায় গেলেন, সেই খোঁজ কি মন্ত্রণালয় নিয়েছিল? আর তিনি যে কানাডায় গেলেন, এটা কি ছুটি নিয়ে গেলেন? পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তো এ বিষয়ে দায় এড়াতে পারে না। কাজেই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলছে, সেটা অনেক অনেক দেরিতে নেওয়া হলো।

Scroll to Top