এই খবরটি পডকাস্টে শুনুনঃ
সিগারেটের স্বাস্থ্য ঝুঁকি বিবেচনায় এটি বন্ধে ওরস্যালাইনের মতো কিছু আবিষ্কারের পরামর্শ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব মোহাম্মদ শফিকুল আলম।
আজ (১২ মার্চ) বুধবার তামাক পণ্যের কর বৃদ্ধি নিয়ে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম আয়োজিত এক কর্মশালায় তামাক নিয়ন্ত্রণের কৌশল বদলানোর তাগিদ দিয়ে তিনি বলেন, তাহলে কলেরার মতো আরেক প্রাণঘাতী ক্যান্সারসহ অনেক রোগ থেকে কোটি প্রাণ বেঁচে যাবে। তার মতে, কর বাড়িয়ে তামাক নিয়ন্ত্রণের কৌশলটাই ভুল।
প্রেস সচিব বলেন, নারীদের মধ্যে ধূমপান প্রবণতা বাড়ছে। এটি চিন্তার বিষয়। তামাক নিয়ন্ত্রণে মন্ত্রিসভাতেও আলোচনা হচ্ছে। কীভাবে তামাক নিয়ন্ত্রণ করা যায় তা নিয়ে সরকারেরও আলোচনা হচ্ছে। এর আগে আসছে বাজেটে নিম্ন স্তরের সিগারেটের দাম প্রতি শলাকা সর্বনিম্ন ৯ টাকা করার প্রস্তাব দেয়া হয়।
অনুষ্ঠানে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য ডক্টর মোহাম্মদ আব্দুর রউফ বলেন, তামাক নিয়ন্ত্রণ এনবিআরের একার পক্ষে সম্ভব নয়। এজন্য সরকারের অন্য সংস্থাগুলোকেও এগিয়ে আসতে হবে। অতীতের যেকোনো বছরের চেয়ে চলতি অর্থবছরে তামাক পণ্যের বেশি কর আরোপ করা হয়েছে। এনবিআরের মূল কাজ রাজস্ব আহরণ হলেও জনস্বাস্থ্যের বিষয়টিও দেখা উচিত।
ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন অব দ্য রুরাল পুওর, ডরপ এবং ইআরএফ-এর যৌথ উদ্যোগে কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সংস্থাটির উপ-নির্বাহী পরিচালক জোবায়ের হাসান।