North 24 Parganas News: স্ত্রীর ভালবাসার টানে সাহিত্যিক বিভূতিভূষণ গড়েছিলেন গ্রন্থাগার! যার করুণ অবস্থা আজ বাঙালিদের ‘লজ্জা’

১৯১৭ সালে বসিরহাটের পানিতর গ্রামের গৌরী মুখোপাধ্যায়কে বিয়ে করেন বিভূতিভূষণ। অল্পদিনের মধ্যেই স্ত্রীকে ভালবেসে ফেলেন তিনি। কিন্তু মাত্র এক বছরের মধ্যে কলেরায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় গৌরীদেবীর। এই আঘাত মেনে নিতে পারেননি প্রখ্যাত সাহিত্যিক। আকালে হারিয়ে যাওয়া স্ত্রীর স্মৃতি তাকে বারবার পানিতর গ্রামে টানত। সেখানেই তাঁর স্মৃতিকে ছুঁয়ে দেখতে তিনি বারবার ফিরে আসেন ইছামতির পাড়ে দাঁড়িয়ে থাকা শ্বশুরবাড়িতে। শ্বশুরবাড়ির গ্রামের সঙ্গে মানসিকভাবে এতটাই জড়িয়ে পড়েছিলেন।

আরও পড়ুন: সম্পর্কে ভাঙন, রাগে প্রেমিকার বাড়ি লক্ষ্য করে চলন্ত ট্রেন থেকে পাথর! ধরা পড়ল মূল কালপ্রিট

তৎকালীন সময়ে এলাকাবাসী সহ তার প্রচেষ্টায় ওই গ্রামেই তৈরি হয়েছিল একটি পাঠাগার। দেশ স্বাধীনের আগে থেকেই স্থানীয়রা এসে পড়াশোনা করত। এমনকি অবিভক্ত বাংলার তথা বর্তমান বাংলাদেশের সাতক্ষীরা থেকেও অনেকে আসতেন এই পাঠাগারে। পরবর্তীকালে ১৯৭৮ সালে রাজ্য সরকার এই পাঠাগারের দায়িত্ব নিজের হাতে তুলে নেয়। বিভূতিভূষণ গ্রামীণ পাঠাগার নামকরণ করা হয়। প্রখ্যাত কথা সাহিত্যিকের নামাঙ্কিত এই পাঠাগার নিয়ে স্থানীয়রা আজ‌ও গর্ব করেন। কিন্তু গ্রন্থাগারিকের অভাবে কয়েকদিন আগেই বন্ধ হয়ে গিয়েছে পাঠাগারের দরজা।

আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন

দীর্ঘদিন ধরে অযত্নে বাড়ে ওঠায় মরিচা ধরেছে তালা থেকে শুরু করে জানলার গ্রিলেও। কয়েক বছর আগে এ পর্যন্ত মাঝে মাঝে এই গ্রন্থাগার খোলা হলেও বর্তমানে কিন্তু গ্রন্থাগার দফতরের পক্ষ থেকে এখনও কাউকে নতুন দায়িত্ব দিয়ে এখানে পাঠানো হয়নি। ফলে তালা বন্ধ অবস্থাতেই পড়ে আছে এই ঐতিহ্যবাহী পাঠাগারটি। স্থানীয় মানুষের পাশাপাশি সাহিত্যপ্রেমীদের দাবি, সরকার যেন অবিলম্বে একজন গ্রন্থাগারিককে নিযুক্ত করে বিভূতিভূষণের স্মৃতি বিজড়িত এই পাঠাগারে। এভাবেই বেঁচে থাক বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্মৃতি বিজড়িত গ্রন্থগারটি।

জুলফিকার মোল্যা