এই ৫ কারণে রোজা না রাখার অনুমতি আছে

এই ৫ কারণে রোজা না রাখার অনুমতি আছে

ধর্ম ডেস্ক : প্রত্যেক প্রাপ্তবয়স্ক, সুস্থ, সবল ও মানসিকভাবে সুস্থ মুমিনের জন্য রমজানের রোজা রাখা আবশ্যক করেছে ইসলাম। তবে বিশেষ কারণে, একান্ত প্রয়োজনের মুহূর্তে রোজা না রাখা বা ভেঙে দেওয়ার অবকাশ রয়েছে। এ রকম ৫টি কারণের কথা এখানে তুলে ধরা হলো—

এই ৫ কারণে রোজা না রাখার অনুমতি আছে

অসুস্থতা: অসুস্থ ব্যক্তির জন্য রোজা না রাখার অবকাশ আছে। তবে এ ক্ষেত্রে শর্ত হলো—অসুস্থতা এমন পর্যায়ের হতে হবে, যাতে রোজা রাখলে ব্যক্তির বড় ধরনের ক্ষতি, কষ্টের পরিমাণ বেড়ে যাওয়া অথবা সুস্থতা বিলম্বিত হওয়ার আশঙ্কা থাকে।

বার্ধক্য: অতিশয় বৃদ্ধ মানুষের যদি রোজা রাখার শারীরিক সামর্থ্য না থাকে, তবে তাঁদের রোজা না রাখার অবকাশ দিয়েছে ইসলাম। যদি এমন হয় যে বৃদ্ধ নারী ও পুরুষ বছরের কোনো সময় (দিন ছোট বা বড় হোক, শীত বা গ্রীষ্ম হোক) রোজা কাজা আদায় করতে পারবেন না, তাহলে তাঁরা ফিদইয়া আদায় করবেন।

বিপদ: অনিবার্য কারণে বিপদের হাত থেকে বাঁচতে কখনো কখনো রোজা না রাখার অবকাশ আছে। যেমন ডুবে যাওয়া বা আগুনে পোড়া ব্যক্তির চিকিৎসা রোজা ভঙ্গ না করলে করা সম্ভব হয় না। তবে এমন ব্যক্তি পরে রোজা কাজা করবে।

গর্ভধারণ ও স্তন্যদান: গর্ভবতী ও স্তন্যদানকারী নারী যদি নিজের ও সন্তানের ব্যাপারে কোনো ক্ষতির আশঙ্কা করেন, তবে তাঁর জন্য রোজা না রাখার অবকাশ রয়েছে।

ইফতারে তরমুজ কতটা স্বাস্থ্যকর?

ভ্রমণ: ভ্রমণরত ব্যক্তির জন্য রমজানের রোজা না রাখার অবকাশ আছে। তবে শর্ত হলো, তাঁকে ইসলামি শরিয়তের দৃষ্টিতে মুসাফির হতে হবে। মুসাফির ব্যক্তি রোজা ভাঙলে পরবর্তী সময়ে তা কাজা করে নিতে হবে।

এ ছাড়া ঋতুস্রাব ও প্রসবকালীন স্রাব চলাকালীন নারীরা রোজা রাখবেন না। এই সময়ে রোজা রাখা যাবে না। পরে কাজা আদায় করে দেবেন।

Scroll to Top