বারাবঁকির আকাশ থেকে এ কী পড়ল! ঘনঘন বেজে উঠল ফোন, তদন্তে প্রশাসন

বারাবঁকির আকাশ থেকে এ কী পড়ল! ঘনঘন বেজে উঠল ফোন, তদন্তে প্রশাসন

Last Updated:

Injured Vulture in Barabanki : উত্তর প্রদেশের বারাবঁকি জেলার ধন্নাগ তীর্থ থেকে একটি বিরল প্রজাতির হিমালয়ান গ্রিফন শকুনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। স্থানীয়রাই প্রথম দেখেন। তাঁরা খবর দেন বন দফতরে।

বারাবঁকির আকাশ থেকে এ কী পড়ল! Photo: Local18বারাবঁকির আকাশ থেকে এ কী পড়ল! ঘনঘন বেজে উঠল ফোন, তদন্তে প্রশাসন
বারাবঁকির আকাশ থেকে এ কী পড়ল! Photo: Local18

সঞ্জয় যাদব, বারাবঁকি: উত্তর প্রদেশের বারাবঁকি জেলার ধন্নাগ তীর্থ থেকে একটি বিরল প্রজাতির হিমালয়ান গ্রিফন শকুনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। স্থানীয়রাই প্রথম দেখেন। তাঁরা খবর দেন বন দফতরে। দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দেওয়া রেঞ্জ টিম। তারা শকুনটিকে উদ্ধার করে। জানা গিয়েছে, বিদ্যুতের তারে ধাক্কা লেগে গুরুতর জখম হয় শকুনটি। বর্তমানে চিকিৎসার জন্য তাকে রেঞ্জ বন দফতরের কেন্দ্রে রাখা হয়েছে।

সম্প্রতি বারাবঁকির বিভিন্ন এলাকায় শকুনের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। উচ্ছ্বসিত বন দফতর। ধন্নাগ তীর্থের খুজ্জি গ্রাম থেকে উদ্ধার হওয়া এই বিরল প্রজাতির শকুনকে “হিমালয়ের রাজা” বলা হয়। এদের মূলত হিমালয়ের পার্বত্য অঞ্চলে দেখা যায়। তবে গত কয়েক বছর ধরে জলবায়ু পরিবর্তন ও বাসস্থান সংকটের কারণে এই প্রজাতির সংখ্যা ক্রমশ কমছে। মানবসৃষ্ট নানা প্রতিবন্ধকতা, বিশেষত বিদ্যুতের তার ও বিষাক্ত খাদ্য, এদের বেঁচে থাকার জন্য বড় হুমকি।

আরও পড়ুন– রণক্ষেত্র বিয়েবাড়ি! ডিজে বাজানো নিয়ে দু’পক্ষের হাতাহাতি, কনের ভাইকে কুপিয়ে খুন, ধৃত ৮

Local18-কে বারাবঁকির ডিএফও আকাশদীপ বলেন, “ধন্নাগ তীর্থ থেকে গুরুতর আহত অবস্থায় শকুনটিকে উদ্ধার করা হয়। তার দু’টি পায়েই ক্ষত রয়েছে। বর্তমানে চিকিৎসা চলছে। আপাতত নজরদারিতে রাখা হয়েছে।”

সম্প্রতি বারবঁকির গ্রাম ও বনাঞ্চলে ফের বড় বড় শকুনের দল দেখা যাচ্ছে। জাহাঙ্গীরাবাদ অঞ্চলের বাঁভোরা গ্রামে মৃত প্রাণীর দেহ খেতে দেখা গিয়েছে শকুনের একটি বড় দলকে। হৈদরগড় ও দরিয়াবাদের গাছেও শকুনের আনাগোনা বেড়েছে। শকুন সংরক্ষণের জন্য বিশেষ দল গঠন করেছে বন দফতর। তাদের লক্ষ্য শকুনদের নিরাপদ আশ্রয় দেওয়া, বিদ্যুতের তার ও অন্যান্য বিপজ্জনক স্থানে নজরদারি বাড়ানো, এবং শকুন-বান্ধব পরিবেশ গড়ে তোলা।

আরও পড়ুন– প্রায় ৩ লাখ কোটি টাকার ব্যবসা! অযোধ্যা-বারাণসীরও লক্ষ্মীলাভ, ধর্ম আর অর্থনীতির মেলবন্ধন ঘটাল মহাকুম্ভ

ডিএফও আরও জানান, “যেখানে সারা দেশে শকুনের সংখ্যা হ্রাস পাচ্ছে, সেখানে বারাবঁকিতে এদের সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। যা অত্যন্ত ইতিবাচক। এদের সুরক্ষার জন্য আরও কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।”

শকুন পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখে। বাস্তুতন্ত্রকে রক্ষা করে। কিন্তু, বিষাক্ত খাদ্য, বাসস্থান সংকট ও বিদ্যুতের তারের মতো প্রতিবন্ধকতার কারণে শকুনের সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে কমে আসছে। পরিবেশবিদদের মতে, যদি এই প্রবণতা অব্যাহত থাকে, তাহলে প্রাকৃতিক ভারসাম্য মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। শকুন সংরক্ষণ তাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

বন দফতরের পক্ষ থেকে সচেতনতা প্রচার চালানো হচ্ছে। স্থানীয়দের কাছে আহ্বান জানানো হয়েছে, যদি কেউ আহত বা বিপদগ্রস্ত শকুন দেখতে পান, তবে দ্রুত স্থানীয় বন দফতরকে জানান। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টাতেই শকুন সংরক্ষণ সম্ভব বলে মনে করেন পরিবেশবিদরা।

Next Article

রণক্ষেত্র বিয়েবাড়ি! ডিজে বাজানো নিয়ে দু’পক্ষের হাতাহাতি, কনের ভাইকে কুপিয়ে খুন, ধৃত ৮

Scroll to Top