মুম্বাই, ১৩ ফেব্রুয়ারি – বলিউডের তারকা দম্পতি রাজকুমার রাও-পত্রলেখা। প্রায় এক যুগেরও বেশি সময় ধরে প্রেমের পর ২০২১ সালে সাতপাকে বাঁধা পড়েন এই জুটি।
শোবিজাঙ্গনে তারকাদের সংসার ভাঙা-গড়ার মাঝেও তাদের দুজনের সম্পর্কটা চোখে পড়ার মতো। এই তারকা দম্পতি জানান, তাদের সম্পর্কের প্রাথমিক ভিত্তি পারস্পরিক বোঝাপড়া ও শ্রদ্ধা।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে রাজকুমারের সঙ্গে সম্পর্কের রসায়ন বর্ণনা করতে গিয়ে পত্রলেখা বলেন, আমরা শুরু থেকেই একমত ছিলাম যে, আমাদের সম্পর্কের মাঝে কোনো ভেদাভেদ থাকবে না। ছোট-বড় যাই হোক, সবকিছুই ভাগ করে নেব। এখন পারস্পরিক বোঝাপড়ার মাধ্যমে নিত্যদিনের বাড়ির কাজগুলোও ভাগ করে নিই। এগুলোর মধ্যে রয়েছে— রান্না করা, জামাকাপড় কাচা, বাসন মাজা ইত্যাদি।
সাংসারিক কাজে সহায়তা করেন রাজকুমার। বিষয়টি জানিয়ে পত্রলেখা বলেন, ‘সে ভীষণ গুছিয়ে কাজ করে। বাড়ির ছোটখাটো জিনিসপত্র কোথায় রাখা থাকে, সেটাও সে জানে। আমি রান্না করতে ভালোবাসি আর রাজকুমার থালাবাসন ধুয়ে সবসময় আমাকে সাহায্য করে। এই ছোট ছোট কাজগুলো ভাগ করে নেওয়াই আমাদের আরো কাছে নিয়ে আসে। আমরা সমতায় বিশ্বাস করি আর কাজেও সেটা প্রতিফলিত হয়।’
স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্কের ব্যাপার ব্যাখ্যা করতে গিয়ে রাজকুমার রাও বলেন, ‘সম্পর্কের ক্ষেত্রে আমরা বিশ্বাস করি, ছোট ছোট কাজ থেকেই সমতার সূচনা। পত্রলেখা যখন রান্নার কাজ করে, তখন আমি বাসন মাজতে ভালোবাসি। অথবা যখন ও বাইরে থাকে, তখন আমি বাড়ির টুকটাক কাজ করে থাকি। এটা পরস্পরের জীবনকে সহজ করার একটা বড় উপায়। আমাদের কাছে এটা নম্বর তোলার বিষয় নয়। বরং এটা একে অপরের পাশে থাকার ব্যাপার।’
দিবাকর বন্দ্যোপাধ্যায় নির্মিত ‘লাভ সেক্স আউর ধোঁকা’ সিনেমায় প্রথমবার রাজকুমারকে দেখেন পত্রলেখা। সিনেমায় দেখে পত্রলেখা ভেবেছিলেন, নেতিবাচক চরিত্রের এই অভিনেতা বাস্তবেও একই রকম। ২০১৩ সালে ‘সিটি লাইটস’ সিনেমার জন্য রাজকুমার রাওয়ের বিপরীতে পত্রলেখাকে ভাবা হয়। এরপর রাজকুমারের সঙ্গে দেখা করতে যান পত্রলেখা, সঙ্গে নিয়ে যান তার বড় বোনকে।
পত্রলেখা পরে অবাক হয়ে দেখেন মোটেও খারাপ মানুষ নন রাজকুমার। একেবারে অন্য এক মানুষ। উপলদ্ধি করতে পারেন, রাজকুমার ভালো অভিনয়শিল্পী। তারপর কয়েক দিন হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ আদান-প্রদান চলে। এভাবে কখন যে প্রেমটা হয়ে যায়, তা কেউই বলতে পারেন না।
আইএ/ ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫