কাবুল, ০৪ ফেব্রুয়ারি – আফগানিস্তানে মেয়েদের শিক্ষার ওপর নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে প্রকাশ্যে সমালোচনা করেছিলেন তালেবান সরকারের একজন জ্যেষ্ঠ নেতা। তবে এরপরই সরকারের তোপের মুখে পড়েন তিনি।আজ মঙ্গলবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ইনডিপেনডেন্ট এর প্রতিবেদনে বলা হয়, শেষ পর্যন্ত গ্রেপ্তারের আশঙ্কায় আফগানিস্তান থেকে পালিয়েছেন ওই নেতা।
গত মাসেই তালেবানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের রাজনৈতিক উপদেষ্টা শের আব্বাস স্তানিকজাই মেয়েদের জন্য পুনরায় স্কুল চালু করার আহ্বান জানিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ‘মেয়েদের শিক্ষার ওপর নিষেধাজ্ঞা ইসলামী শরিয়াহ আইনের পরিপন্থী। এর কোনো যুক্তিসংগত কারণ নেই—না এখন, না ভবিষ্যতে।’ তিনি বলেন, ‘আমরা ২ কোটি মানুষের প্রতি অবিচার করছি।’
তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে নারীদের জন্য ষষ্ঠ শ্রেণির পর শিক্ষা নিষিদ্ধ করেছে আফগানিস্তানের বর্তমান তালেবান সরকার। এই ইস্যুতে দেশটি আন্তর্জাতিকভাবে অনেকটা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
ইন্ডিপেন্ডেন্টের প্রতিবেদনে বলা হয়, স্তানিকজাইয়ের বক্তব্যের পর তালেবানের সর্বোচ্চ নেতা হিবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা তাকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেন এবং তার ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন। তবে গ্রেপ্তার হওয়ার আগেই স্তানিকজাই সংযুক্ত আরব আমিরাতের উদ্দেশে দেশত্যাগ করেন বলে আফগানিস্তান ইন্টারন্যাশনাল জানিয়েছে।
স্থানীয় গণমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে স্তানিকজাই অবশ্য দাবি করেছেন, তিনি চিকিৎসার প্রয়োজনে দুবাই গিয়েছেন।
সূত্র: আমাদের সময়
আইএ/ ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫