সেলেনার কান্নায় হাসলেন মেগান! | চ্যানেল আই অনলাইন

সেলেনার কান্নায় হাসলেন মেগান! | চ্যানেল আই অনলাইন

যুক্তরাষ্ট্র থেকে অবৈধ অভিবাসীদের তাড়াতে ঝটিকা অভিযান শুরু করেছে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন প্রশাসনের নির্দেশে শুরু হয়েছে এ অভিযান। দেখা গেছে অবৈধ অভিবাসীদের হাতকড়া পরিয়েও নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর দৃশ্যও!

এসব ঘটনা দেখে সম্প্রতি কান্নায় ভেঙে পড়েন মার্কিন গায়িকা-অভিনেত্রী সেলেনা গোমেজ। ইনস্টাগ্রামে দেয়া নিজের কান্নার সেই ভিডিওতে অঝোরে কাঁদতে দেখা যায় তাকে। ভিডিওর ক্যাপশনে এই গায়িকা লেখেন, “আমি দুঃখিত।” পরে তীব্র সমালোচনার মুখে ভিডিওটি মুছে ফেলেন এই শিল্পী ও অভিনেত্রী।

তবে এ ঘটনার জন্য অনবরত কটাক্ষের শিকার হচ্ছেন সেলেনা। জনপ্রিয় মার্কিন সাংবাদিক ও আইনজীবী মেগান কেলিও সেলেনার এমন কাণ্ডের জন্য তাকে ‘অসুস্থ’ বলে মন্তব্য করেন।

ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিবাসন নীতির কারণে ক্যামেরার সামনে গিয়ে কেঁদে ভিডিও পোস্ট করায় সেলেনাকে ‘অস্বাভাবিক’ বলেও মন্তব্য করেন মেগান। কেলি তার পডকাস্টে সেলেনাকে এই ঘটনার জন্য খোঁচা দিয়ে বলেন, সেলেনা গোমেজ একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব। পাব্লিক ফিগার হওয়ার কারণে সামাজিক মাধ্যমে তার অনেক প্রভাব রয়েছে। তাই বলে যা খুশি বলবেন, সেটা মানুষ মেনে নিবে? সেলেনা ভক্তদের একটি অংশ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের অভিবাসন নীতির কারণে তাই ‘কান্না’কে সমর্থন করেনি। তীব্র সমালোচনার মুখে তাই ভিডিও সরাতে হয়েছে।

GOVT

সেলেনাকে তীব্র কটাক্ষ করে মেগান তাকে ‘অসুস্থ ব্যক্তি’ বলেও অভিহিত করেন এবং ইঙ্গিত দেন যে গায়িকা ভিডিওতে নিজেকে আরও দুঃখী দেখানোর জন্য জোর করে কান্নার চেষ্টা করেছিলেন। কেলি আরও বলেন, “স্পষ্টতই এটা একজন অস্বাভাবিক ব্যক্তির কাজ। যে কেউ যদি ফোন তুলে এমনভাবে ভিডিও করে, তাহলে সে অসুস্থ। কান্না স্বাভাবিক… কিন্তু আমি বুঝতে পারি না সেই ব্যক্তিকে, যে ইচ্ছাকৃতভাবে আরও কাঁদার চেষ্টা করে, যেন নিজেকে আরও বেশি দুঃখী দেখানো যায়।”

সেলেনা গোমেজের পরিবার মেক্সিকো থেকে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমিয়ে থিতু হয়েছেন। এক সাক্ষাৎকারে সেলেনা জানিয়েছিলেন, ১৯৭০ সালে তার ফুফু মেক্সিকোর সীমান্ত পার হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে ঢোকার জন্য একটা ট্রাকের পেছনে উঠেছিলেন। তার পিছু পিছু আসেন সেলেনার দাদা-দাদিও। সেলেনার বাবার জন্ম টেক্সাসে। ১৯৯২ সালে সেখানেই জন্মগ্রহণ করেন সেলেনা।

Scroll to Top