বেতন-ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে শাহবাগ মোড় অবরোধ করেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ও বিসিপিএস’র অধিভুক্ত পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ট্রেইনি চিকিৎসকরা। দাবি মেনে নিতে আন্দোলনরত চিকিৎসকদের কাছে ৭২ ঘণ্টার সময় চেয়েছে মন্ত্রণালয়। তবে চিকিৎসকরা তাতে রাজি না হওয়ায় দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা।
আজ রোববার (২২ ডিসেম্বর) দুপুর থেকেই ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে কর্মবিরতি ও অবস্থান ধর্মঘট পালন করছেন তারা। এতে যান চলাচল বন্ধ হয়ে ভোগান্তিতে পড়েন লোকজন।
মন্ত্রণালয়ের আবেদনের প্রেক্ষিতে আন্দোলনকারীরা জানান, ট্রেইনি চিকিৎসকদের দাবির বিষয়টি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল কর্মকর্তাকে শাহবাগে এসে সাংবাদিকদের সামনে বলতে হবে। তাহলেই কেবল তারা রাজপথ ছাড়বে।
এর আগে আজ দুপুর ১২টা পর্যন্ত বেতন বৃদ্ধি করে প্রজ্ঞাপন জারি করতে সময় বেধে দেন চিকিৎসকরা। দাবি পূরণ না হওয়ায় সারাদেশে আবারও কর্মবিরতিতে নেমেছেন পোস্ট গ্র্যাজুয়েট প্রশিক্ষণার্থী চিকিৎসকরা। আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের সংগঠন ডক্টরস মুভমেন্ট ফর জাস্টিস সোসাইটির (ডিএমজেএস) পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়। পরে ঢাকার বিএসএমএমইউয়ের বটতলায় অবস্থান নিয়ে স্লোগান দেন প্রাইভেট পোস্টগ্র্যাজুয়েট ট্রেইনি ডাক্তাররা।
ভাতা বাড়ানোর দাবিতে ২০২২ সাল থেকে আন্দোলন চালিয়ে আসছেন পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ট্রেইনি চিকিৎসকরা। ২০২৩ সালের জুন মাসে এ দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন পাঁচ শতাধিক চিকিৎসক। এরপরও বিভিন্ন সময়ে হাসপাতালের গেটে, শাহবাগে এবং কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে অবস্থান নিয়ে তারা বিক্ষোভ করেছেন, পালন করেছেন গণঅনশন কর্মসূচি।
আন্দোলনের পর গত বছরের জুলাইয়ে পোস্টগ্র্যাজুয়েট প্রাইভেট চিকিৎসকদের মাসিক ভাতা বাড়িয়ে ২৫ হাজার টাকা করার ঘোষণা দেয় তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার। তবে ওই ভাতাও ‘যৌক্তিক নয়’ বলে দাবি করে আসছিলেন ট্রেইনি চিকিৎসকরা। এর আগে তারা ২০ হাজার টাকা ভাতা পেতেন।
অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার পর আবারও ভাতা বাড়ানোর দাবি নিয়ে ট্রেইনি চিকিৎসকদের আন্দোলন শুরু হয়।