নিঃসন্দেহে এ সময়ে শোবিজ অঙ্গনের অন্যতম আলোচিত তারকা আজমেরী হক বাঁধন। অকারণে নয়, শুধু ভালো কাজ আর ভালো উদ্যোগের জন্য আলোচিত তিনি। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে নিজের কাজ দিয়ে বাংলাদেশকে করে চলেছেন গর্বিত।
কয়েক মাস আগেই তিনি ঘোষণা করেন, প্রযোজকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে চলেছেন তিনি। সে সময় বাঁধন বার্তা২৪.কমকে বলেছিলেন, ‘আমি একটি সিনেমার এক্সিকিউটিভ প্রোডিউসার হতে চলেছি। গল্প, নির্দেশক সব ঠিকঠাক হয়ে গেছে। এখন ফাইন্যান্সার খুঁজছি। সবকিছু ঠিক হয়ে গেলে বড়পর্দার জন্যই ছবিটি করব।’
বাঁধন আরও জানিয়েছিলেন, তার প্রযোজিত প্রথম সিনেমাটির নাম ‘মেয়েদের গল্প’। নারীকেন্দ্রীক সেই সিনেমায় মেয়েদের দৃষ্টিভঙ্গিতে আমাদের সমাজ কেমন সেটি ফুটে উঠবে। ছবিটি পরিচালনা করবেন লামিয়া চৌধুরী। পাঠকের অবগতির জন্য বলা, লামিয়া একজন স্টারকিড। তার বাবা-মা এ দেশের চলচ্চিত্রঅঙ্গনের জনপ্রিয় তারকা দম্পতি প্রয়াত চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী ও চিত্রনায়িকা দিতি।
আর দিতির মধ্যে গভীর সম্পর্ক ছিল। দিতির বিভিন্ন কাজ ও গুণাবলীর দ্বারা একসময় প্রভাবিত হয়েছেন বাঁধন। ফলে সেই সম্পর্কের খাতিরেই কি লামিয়ার মতো একজন নতুন পরিচালকের ওপর ভরসা করে কাজ করছেন বাঁধন? তিনি এখন প্রতিটি কাজ যতোটা বিচার বিশ্লেষণ করে করছেন, এই কাজটিও কি সেই মান বজায় রাখতে সক্ষম হবে?
সরাসরি এমন প্রশ্নের জবাবে বাঁধন বার্তা২৪.কমকে বলেছিলেন, ‘আমার অভিজ্ঞতা থেকে বলতে চাই কাজটি খুব ভালো হবে। লামিয়া আমার ওপর কিছুই চাপিয়ে দেয়নি। ইনফ্যাক্ট সে একবারও আমাকে কাজটি করার অনুরোধ করেনি। গল্প আমাকে দিয়েছে, আমার পছন্দ হয়েছে বলে নিজেই তার সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী হয়েছি। গল্পের কিছু জায়গায় আমার ইনপুটও দিয়েছি। সে সাদরে সেগুলো গ্রহণ করেছে।’
তবে সেই ঘোষণার পর ছবিটির আর কোন অগ্রগতির খবর পাওয়া যায়নি। এবার সেই বিষয়ে বার্তা২৪.কমের সঙ্গেই প্রথম কথা বললেন বাঁধন। ছবিটির কাজ এখন কি অবস্থায় আছে? জানতে চাইলে বাঁধন বলেন, ‘আমি এখন আর সেই ছবিটির সঙ্গে নেই। সুতরাং এ নিয়ে এর বেশি কিছু এখন আর বলতে চাই না।’
হয়তো বাঁধন আর লামিয়ার সবকিছু ব্যাটে বলে মেলেনি বলেই তারা একসঙ্গে ছবিটি আর করতে পারছেন না।