যুক্তরাষ্ট্র ইরান এবং ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সঙ্গে সম্পর্কিত ১৫ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার ১৯ ডিসেম্বর মার্কিন ট্রেজারি বিভাগ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান এবং জাহাজ রয়েছে।
নিষেধাজ্ঞার মধ্যে ইরান এবং হুতিদের সঙ্গে সম্পর্কিত তিনটি জাহাজ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে, জিবুতির পতাকাবাহী ক্রুড অয়েল ট্যাংকার এমএস এনোলা, সান ম্যারিনোর পতাকাবাহী এমএস এনজিয়া, এবং পানামার পতাকাবাহী এমএস মেলেনিয়া। এই জাহাজগুলো ইরানের পেট্রোলিয়াম এবং পেট্রোকেমিক্যাল বাণিজ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং এর মাধ্যমে তেহরান বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার আয় করে।
এসব জাহাজের মাধ্যমে ইরান তার পারমাণবিক কর্মসূচি, ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উন্নয়ন এবং হিজবুল্লাহ, হামাস, হুতি গোষ্ঠীকে সহায়তা করে আসছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
মার্কিন ভারপ্রাপ্ত আন্ডার সেক্রেটারি ফর টেররিজম অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্রেডলি স্মিথ বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ইরানের অস্থিতিশীল কর্মকাণ্ডের জন্য অর্থায়নকারী প্রধান রাজস্ব উৎসগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তিনি আরও উল্লেখ করেন, ইরান এই কর্মকাণ্ডের জন্য বিভিন্ন জাহাজ, কোম্পানি এবং সহায়তাকারী নেটওয়ার্কের ওপর নির্ভর করে।
এছাড়া, হুতিদের আর্থিক সহায়তা দেওয়ার অভিযোগে ১২ ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠানকে নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা হয়েছে। তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন হাসিম আলি আহমদ আল মাদানি, যিনি হুতিদের সংশ্লিষ্ট সানার সেন্ট্রাল ব্যাংকের প্রধান। তার বিরুদ্ধে ইরান থেকে বেআইনিভাবে তেল পাচার, অস্ত্র পাচার এবং মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগ রয়েছে।
ইরান তাদের পারমাণবিক প্রকল্পকে শান্তিপূর্ণ লক্ষ্য অর্জনের জন্য উল্লেখ করে আসলেও, যুক্তরাষ্ট্রের পদক্ষেপটি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ে ইরানের অস্থিতিশীল কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে একটি কঠোর বার্তা হিসেবে দেখা হচ্ছে।