অপরাধীরা তখন ছুটে পালাচ্ছে। অপরাধীদের জিজ্ঞেসও করতে হচ্ছে না। চেহারা ও অবস্থা দেখেই তাদের চেনা যাচ্ছে। তারপর জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হবে। অপরাধীদের হিঁচড়ে জাহান্নামের আগুনে নিক্ষেপ করা হবে। এটি এ সুরার নিষ্করুণ চিত্র।
অনেকের মনেই প্রশ্ন জাগতে পারে যে সুরা আল্লাহর নাম ‘আর রাহমান’ দিয়ে শুরু করলেন—যিনি পরম ক্ষমাপরায়ণ, যত্নশীল ও দয়ালু—সে সুরার মাঝখানে তিনি জাহান্নামের এতটা ভয়ংকর চিত্র তুলে ধরলেন কেন? আসলে এটি আল্লাহর করুণা প্রদর্শণের একটি পথরেখা। কারণ জাহান্নাম আছে। তাই আগে থেকেই জাহান্নাম সম্পর্কে জানা থাকা প্রয়োজন, যাতে আমরা এর থেকে আল্লাহ্র দয়া পেতে পারি। এই দয়াই তো আল্লাহর দেওয়া উপহার। আগে জানা থাকলে নিজেকে আমরা এর থেকে রক্ষা করতে পারি।
জাহান্নামের পরে জান্নাতের বর্ণনার শুরু। ‘আর যে তার রবের সামনে দাঁড়াতে ভয় করে তার জন্য রয়েছে দুটি জান্নাত।’ প্রথমে আল্লাহ ভয় দেখিয়েছেন। তারপর বলছেন, সেই ভয় যদি আমাদের চিত্তকে সরল পথে চালিত করতে পারে, তাহলে আছে জান্নাত।
এই সুরার জান্নাতের বর্ণনা দুটি অংশে ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। প্রথম অংশে আছে কোরআন নাজিলের মহিমা বর্ণনা; দ্বিতীয় অংশে আল্লাহর দেওয়া দুনিয়ার উপহারের সৌন্দর্য বর্ণনা।