এজেন্সিপ্রতি হজযাত্রী কোটা একশ করার দাবি

এজেন্সিপ্রতি হজযাত্রী কোটা একশ করার দাবি

জুমবাংলা ডেস্ক : পবিত্র হজ পালনে দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের বেশিরভাগই বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় সৌদি আরবে যান। হজযাত্রীরা যে এজেন্সির মাধ্যমে চূড়ান্ত নিবন্ধন করেন, তাদের তত্ত্বাবধানে হজ পালনে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন।

এজেন্সিপ্রতি হজযাত্রী কোটা একশ করার দাবি

সম্প্রতি এজেন্সিপ্রতি এক হাজার যাত্রীর কোটা নির্ধারণ করে দিয়েছে সৌদি আরব। আর এ নিয়ে এজেন্সি ও হজযাত্রীদের মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।

এজেন্সিগুলো বলছে, এতে হজযাত্রীদের প্রয়োজনীয় সব সেবা নিশ্চিত করা অসম্ভব হয়ে পড়বে। আর হজযাত্রীদের শঙ্কা, কাঙ্খিত সেবা না পেলে ঠিকমতো হজ পালন কঠিন হয়ে পড়বে। বিশেষ করে, প্রবীণ, অসুস্থ ও শিক্ষাগত যোগ্যতা কম এমন যাত্রীরা বড় বিপাকে পড়বে।

এমন পরিস্থিতিতে সুষ্ঠু ও সুশৃঙ্খল হজ ব্যবস্থাপনার স্বার্থে বিগত বছরগুলোর মতো এ বছরও এজেন্সিপ্রতি সর্বোচ্চ ৩০০ জন এবং সর্বনিম্ন ১০০ জন হজযাত্রীর চলমান পদ্ধতি অব্যাহত রাখার দাবি জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী হজ এজেন্সি মালিকরা।

সংগঠনের আহ্বায়ক মো. আখতার উজ্জামান ও সদস্য সচিব মোহাম্মদ আলী স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, একই এজেন্সির মাধ্যমে অধিকসংখ্যক হজযাত্রী পাঠালে হজযাত্রীদের কাক্সিক্ষত সেবা নিশ্চিত করা আদৌ সম্ভব হবে না এবং হজ ব্যবস্থাপনায় চরম বিশৃঙ্খলা দেখা দেবে। ২০২৪ সালে এজেন্সিপ্রতি ২৫০ জন হজযাত্রীর বাধ্যবাধকতা থাকায় প্রায় সব এজেন্সি লিড সিস্টেমে কাজ করতে বাধ্য হয়েছিল। এতে হজযাত্রী এবং এজেন্সি মালিকদের মধ্যে মনোমালিন্য চরম পর্যায়ে পৌঁছেছিল। আর এ বছর এজেন্সিপ্রতি ১০০০ জনের বাধ্যবাধকতা থাকলে পুরো হজ ব্যবস্থাপনাই ভঙ্গুর হওয়া ও চরম অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে।

তারা আরও বলেন, আমরা জানতে পারলাম সব হজ এজেন্সির হজযাত্রীদের বাড়ি ভাড়া শুধু পাঁচজন প্রতিনিধির মাধ্যমে সম্পন্ন করার জন্য শর্তারোপ করা হয়েছে যা অবাস্তব ও অসম্ভব একটি পন্থা। শত শত এজেন্সির হজযাত্রীর বাড়ি ভাড়া করা পাঁচ জনের মাধ্যমে কীভাবে সম্ভব? কাজেই রোড টু মক্কা সার্ভিস প্রথা বাতিল করতে হবে।

এজন্য স্পর্শকাতর বিষয়টি অধিকতর গুরুত্ব ও অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিবেচনায় নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ও ধর্ম উপদেষ্টাকে জরুরি ভিত্তিতে সৌদি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনার আহ্বান জানাই।

Scroll to Top