Last Updated:
Potato Supply Crisis:বুধবারও তাঁর সারপ্রাইজ ভিজিট দেওয়ার কথা৷ তবে কোথায় হানা দেবেন, কখন হানা দেবেন সে-সব তথ্য গোপন রাখা হয়েছে।

কলকাতা : বাইরে আলু পাচার রুখতে এবার সারপ্রাইজ ভিজিট মন্ত্রী বেচারাম মান্নার। প্রয়োজনে রাতপাহারা দেবেন আলু পাচার রুখতে, এমনটা জানিয়েছিলেন। ইতিমধ্যেই তিনি সারপ্রাইজ ভিজিটে পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতনে গিয়েছিলেন। বাংলা-ওড়িশা সীমানা দিয়ে প্রচুর পণ্যবাহী গাড়ি যাতায়াত করে। বুধবারও তাঁর সারপ্রাইজ ভিজিট দেওয়ার কথা৷ তবে কোথায় হানা দেবেন, কখন হানা দেবেন সে-সব তথ্য গোপন রাখা হয়েছে।
বেচারাম মান্না জানিয়েছেন, ৩ সেপ্টেম্বর থেকে ২ ডিসেম্বরের মধ্যে ৮ লক্ষ ৪৩ হাজার ২৯৪ মেট্রিক টন আলু বাইরে চলে গিয়েছে। আগামী দু-তিন দিনের মধ্যে আলুর দাম নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চলছে রাজ্যে। রাজ্যকে বিপাকে ফেলতে এক শ্রেণীর আলু ব্যবসায়ী ধর্মঘট চালানোর কৌশল নিয়েছিলেন। মন্ত্রীর অভিযোগ, ভিন রাজ্যে আলু নিয়ে যাওয়ার জন্য কর্মবিরতির নামে রাজ্য সরকারকে চাপ দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন তাঁরা। রাজ্য সরকারকে অন্ধকারে রেখে মালদহের মাইতাপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার হিলি, কোচবিহারের চ্যাংড়াবান্ধা দিয়ে ব্যাপক আলু বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। অভিযোগ, রাজ্য সরকারকে অপদস্থ করার চেষ্টা করছেন কিছু আলু ব্যবসায়ী। পাশাপাশি পেছনে বিজেপি ও সিপিএমের কিছু নেতা কর্মবিরতির নামে রাজ্যের মানুষকে বিপাকে ফেলতে চাইছেন বলেও অভিযোগ।
বেচারাম মান্নার কথায়, রাজ্য সরকার জনগণের স্বার্থে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে যে কোনও কড়া সিদ্ধান্ত নিতে বদ্ধপরিকর। ইতিমধ্যেই পশ্চিম মেদিনীপুর, বর্ধমান, বাঁকুড়া, হুগলির ৪০টি হিমঘরে কার আলু কতটা পরিমাণ মজুত আছে, সে-ব্যাপারে তদন্ত শুরু করেছে। কর্মবিরতি মোকাবিলার জন্য রাজ্য সরকারের সমস্ত দফতর প্রস্তুতি নিচ্ছে। গত সেপ্টেম্বর মাস থেকে প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতির প্রতিনিধিদের ২৬ টাকা প্রতি কেজি পাইকারি হারে আলু দেওয়ার কথা বললেও তাঁরা দেননি।
আরও পড়ুন : সাইবার ফ্রড আটকাতে উদ্যোগী রাজ্য! সচেতনতা গড়তে প্রকাশ হল কমিক্স বই
হুগলি এবং বর্ধমান জেলা থেকে কলকাতায় বড়-বড় ব্যবসায়ীদের নামের তালিকা, ফোন নম্বর এবং চালান পাওয়া গিয়েছে।মন্ত্রী তথ্য ও পরিসংখ্যান দিয়ে বলেন, ৬ লক্ষ ২ হাজার মেট্রিক টন আলু গচ্ছিত আছে। ২০২৪-এ আলুর উৎপাদন ৫৮ লক্ষ ৮ হাজার ৪০০ মেট্রিক টন। তাঁর সংযোজন, ঘূর্ণিঝড় ডানা ও দুর্যোগের জন্য নতুন আলুর চাষ ১৫ দিন পিছিয়ে গিয়েছে। জানুয়ারির ১০-১৫ তারিখ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। মন্ত্রীর আবেদন, এদিন থেকে আরও ৪০-৪৫ দিন পুরনো আলু চালাতে হবে। ১৮ হাজার মেট্রিক টন আলুর যোগান দরকার প্রতিদিন। কলকাতায় খরচ হয় ৫০০০ মেট্রিক টন। ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে গড়ে ১৫ হাজার মেট্রিক টন বিক্রি হয়েছে। আরও একটি ভয়াবহ তথ্য হল, কৃষকদের কাছ থেকে ৬৫০ টাকা করে প্যাকেট কিনে ১০০০-১০৭০ টাকা করে বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা। কিছু অসাধু ব্যবসায়ী অতিরিক্ত লাভ করতে চাইছেন। এ জিনিস বরদাস্ত করা হবে না। প্রশাসন তার মতো করে কড়া ব্যবস্থা নেবে। বলেন মন্ত্রী বেচারাম মান্না।
Kolkata,West Bengal
December 04, 2024 8:57 AM IST