সিটি ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ও এফআইভিডিবির কার্যকরী সদস্য আবু জায়েদ বলেন, নিরাপদ খাদ্যের নিশ্চয়তার যে আইনটি আছে, তার বিষয়ে কার্যকারিতা দেখা যায় না। নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষও স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে না। তাদের স্বাধীনভাবে কাজ করার ক্ষমতা থাকতে হবে। কৃষকদের জৈব পদ্ধতিতে চাষে উৎসাহিত করতে তাদের পণ্যের মূল্যও নিশ্চিত করতে হবে।
নিউট্রিশন ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের ডেপুটি কান্ট্রি ডিরেক্টর আসফিয়া আজিম খাদ্যের পুষ্টিমানের ওপর গুরুত্ব আরোপ করে বলেন, নারী ও শিশুদের মধ্যে পুষ্টিহীনতা বেশি। নিরাপদ খাদ্যের মতো সবার জন্যই পুষ্টি সমতারও প্রয়োজন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের খাদ্য ও পুষ্টিবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক আলী আব্বাস মোহাম্মদ খোরশেদ বলেন, সাধারণত চকচকে বা উজ্জ্বল ধরনের সবজিকে টাটকা বলে ভাবা হয়, এগুলোতে রাসায়নিক সার বেশি প্রয়োগ করা হয়। জৈব প্রযুক্তিতে উৎপাদিত শাকসবজি দেখতে এতটা ভালো দেখায় না বলে ক্রেতাদের আগ্রহ কম থাকে। এসব বিষয়ে ক্রেতাদের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে।
ক্যাবের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ূন কবীর ভূঁইয়া বলেন, শুধু কৃষিপণ্যের ক্ষেত্রে জৈব প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করেই খাদ্য নিরাপদ হবে না। পোলট্রি ও মাছ চাষের ক্ষেত্রে যে বিপুল পরিমাণ অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহৃত হচ্ছে, তাতে মানবদেহে এর মারাত্মক প্রভাব পড়ছে। এই বিষয়ে বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে।