নিত্যপণ্যের বাজার অস্থির

নিত্যপণ্যের বাজার অস্থির

আগস্টের মাঝামাঝি দেশের পূর্বাঞ্চলে বন্যায় কৃষিপণ্যের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এই ঘাটতি মোকাবিলায় পণ্য আমদানি স্বাভাবিকের চেয়ে বাড়ার কথা। কিন্তু ব্যবসার অনুকূল পরিবেশ না থাকায় নিত্যপণ্যের আমদানি কমিয়ে দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। ফলে নিত্যপণ্যের দাম বেড়েই চলেছে।

পণ্য আমদানির সঙ্গে যুক্ত ব্যবসায়ীরা বলছেন, একদিকে দেশে রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে ব্যবসায় মন্দা, অন্যদিকে বিশ্ববাজারে মূল্যবৃদ্ধি তাঁদের ঝুঁকির মধ্যে ফেলেছে। এ অবস্থায় বেশি দরে পণ্য এনে বিনিয়োগ তুলে নেওয়ার ক্ষেত্রে অনিশ্চয়তা রয়েছে। ফলে চাহিদা থাকলেও তাঁরা যথেষ্ট পরিমাণে নিত্যপণ্য আমদানির পথে যাচ্ছেন না।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) হিসাবে, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দুই মাসে (আগস্ট-সেপ্টেম্বর) ভোজ্যতেল, চিনি ও পেঁয়াজের মতো নিত্যপণ্যের আমদানি কমে গেছে। বিশ্ববাজারে এসব পণ্যের দামও বাড়ছে। ফলে সরবরাহ না বাড়লে সামনে এসব পণ্যের ঘাটতির শঙ্কা রয়েছে।

আমদানি কমায় নিত্যপণ্যের সরবরাহে চাপ তৈরি হয়েছে। তাতে ময়দা, সয়াবিন তেল, পাম তেল ও পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) হিসাবে, এক সপ্তাহের ব্যবধানে এসব পণ্যের দাম ১ থেকে সাড়ে ৪ শতাংশ বেড়েছে। চিনির শুল্ক কমানোর কারণে দাম কেজিপ্রতি তিন টাকা কমেছে। যদিও প্রতি কেজি চিনিতে কমবেশি ১১ টাকা শুল্ক–কর কমানো হয়েছে। এর প্রধান কারণ, চিনির সরবরাহ কম।

বিগত সরকারের আমলে নিত্যপণ্যের দাম বাড়ার কারণে মানুষের জীবনযাপনের ব্যয় বেড়ে যায়। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। এরপর অন্তর্বর্তী সরকারের গত দুই মাসে নিত্যপণ্যের দাম কমেনি; বরং বেড়েছে।

Scroll to Top