এই খবরটি পডকাস্টে শুনুনঃ
দেবী দুর্গার প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। বিজয়া দশমীতে বিসর্জনের মাধ্যমে পাঁচ দিন বাপের বাড়ি অর্থাৎ মর্ত্যলোকে কাটিয়ে দেবী ফিরলেন দেবালয়ের (স্বর্গ) কৈলাসে স্বামীর বাড়িতে।
রোববার ১৩ অক্টোবর বিকেল থেকে রাজধানীর বুড়িগঙ্গা নদীর ওয়াইজ ঘাটে শুরু হয় এই প্রতিমা বিসর্জন। রাজধানীর বিভিন্ন মন্দির ও পাড়া থেকে প্রতিমা নিয়ে যাওয়া হয় নদীতে। বুড়িগঙ্গায় বিসর্জন হয় দেড় শতাধিক প্রতিমার। দেবীকে চোখের জলে বিদায় জানাতে বুড়িগঙ্গা পাড়ে আসেন হাজারো ভক্ত।
বিসর্জনের আনুষ্ঠানিকতায় ছিলো কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। সেনাবাহিনী, নৌ-পুলিশ, পুলিশ, র্যাব, আনসার ও বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট, ক্রাইম সিন টিম ও সোয়াট দলকে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা দিতে দেখা গেছে। এ ছাড়া কেন্দ্রীয় বিসর্জন ঘাট, মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটি, সনতনী স্বেচ্ছাসেবক ফাউন্ডেশনের সদস্য ও স্বেচ্ছাসেবকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে দায়িত্ব পালন করতে দেখা যায়।
রাজধানীতে রোববার সন্ধ্যা সাতটার মধ্যে প্রতিমা বিসর্জন দেওয়ার সময় বেঁধে দেয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। আর ঢাকার ১১টি জায়গায় প্রতিমা বিসর্জনের স্থান নির্ধারণ করে দেওয়া হয়। স্থানগুলো হলো- লালবাগের ওয়াইজ ঘাট, লালকুঠি ঘাট, ওয়ারীর পোস্তগোলা শ্মশান ঘাট, আলমগঞ্জ ঘাট, শীতলক্ষ্যা নদীর ঘাট ও বালু নদের ঘাট, উত্তরার আশুলিয়ার বিআইডব্লিউটিএ ঘাট, রায়েরবাজার, মিরপুর আমিনবাজার ব্রিজের উত্তর পাশ, মতিঝিলের শ্রীশ্রী বরদেশ্বরী কালীমাতা মন্দিরের পাশের পুকুর এবং মতিঝিলের মান্ডা আমিন মোহাম্মদ লেক।
এর আগে, বিকেল ৪টায় ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির থেকে বিজয়া দশমী ও প্রতিমা বিসর্জনের শোভাযাত্রা বের হয়। প্রতিমা নিয়ে শোভাযাত্রাটি পলাশী মোড়-জগন্নাথ হল-কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার-দোয়েল চত্বর-হাইকোর্ট বটতলা-সরকারি কর্মচারী হাসপাতাল-পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স-নগর ভবন-গোলাপশাহ মাজার-বঙ্গবন্ধু স্কয়ার-গুলিস্থান-নবাবপুর লেভেল ক্রসিং-নবাবপুর রোড-মানসি হল ক্রসিং-রথখোলার মোড়-রায়সাহেব বাজার মোড়-শাঁখারীবাজার-জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়-সদরঘাট বাটা ক্রসিং-পাটুয়াটুলি মোড়/সদরঘাট টার্মিনাল মোড় হয়ে ওয়াইজঘাট গিয়ে শেষ হয়।