এই খবরটি পডকাস্টে শুনুনঃ
বাংলাদেশের সঙ্গে তিন ম্যাচের টি-টুয়েন্টি সিরিজে সবেই বড় ব্যবধানে জিতেছে ভারত। কোনো ম্যাচে লাল-সবুজদের লড়াই করার সুযোগ দেয়নি সূর্যকুমার যাদবের দল। দুদলের পার্থক্যটা দিনের আলোর মতো পরিষ্কার হয়েছে। বাংলাদেশকে হোয়াইটওয়াশের পর অধিনায়ক সূর্যকুমার বলেছেন, নিঃস্বার্থ ক্রিকেটারদের তিনি দলে চান, দলের চেয়ে কেউ বড় নয়।
বাংলাদেশের সঙ্গে শেষ ম্যাচে ৬ উইকেটে ২৯৭ রান তোলে ভারত, যা আন্তর্জাতিক টি-টুয়েন্টির ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। ১৩৩ রানে জয়ের ম্যাচে সাঞ্জু স্যামসন করেন ১১১ রান। ইনিংসটি ছিল ৯ চার ও ৮ ছক্কায় সাজানো। ৯৬ রানে বাউন্ডারি মেরে শতক আদায় করেন স্যামসন। ধীরস্থিরভাবে ঝুঁকি না নিয়ে অপেক্ষা করেও তিনি শতকের ঘরে পোঁছাতে পারতেন। সেটি না করে বড় শট খেলেন। এটিকে উদাহরণ হিসেবে টেনেছেন সূর্য।
৩৪ বর্ষী সূর্যকুমার বলেছেন, ‘মনে করি দল হিসেবে আমরা অনেককিছু অর্জন করেছি। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল সিরিজের শুরুতে যেটা বলেছিলাম যে, আমার দলে নিঃস্বার্থ ক্রিকেটার রাখতে চাই। আমরা নিঃস্বার্থ দল হতে চাই। হার্দিক পান্ডিয়া যেমন বলেছিলেন, আমরা মাঠ ও মাঠের বাইরে একে অপরের পারফরম্যান্স উপভোগ করতে চাই। যতটা সম্ভব বাইরে সময় কাটাতে চাই। তাতে একে অপরের সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ে উঠবে এবং একে অপরের সঙ্গে মজা করতে চাই। আমাদের দলে এমন কথাই হয়ে থাকে।’
‘‘শ্রীলঙ্কা সিরিজের শুরুতেও গৌতি ভাই (গৌতম গম্ভীর) একই কথা বলেছেন, ‘কেউই দলের চেয়ে বড় নয়।’ আপনি ৯৯ রানে কিংবা ৪৯ রানে থাকুন না কেনো, দলের জন্য যদি মনে হয়ে বলটি মাঠের বাইরে পাঠানো উচিত, আপনাকে মারতেই হবে। সঞ্জু এই কাজটাই করেছে। ওর জন্য অনেক খুশি।’’
স্যামসন ছাড়া বাকিরাও সিরিজে দারুণ পারফর্ম করেছেন। প্রথমবারের মতো দলে জায়গা পেয়ে দ্বিতীয় ম্যাচে ৩৩ বলে ৭৪ রান করেছেন নীতিশ কুমার। তার ইনিংসটা ইঙ্গিত দেয় ভারতের পাইপলাইনের ক্রিকেটাররা কতটা প্রস্তুত।